স্ত্রী হত্যার দায়ে ১৭ বছর পর সিলেটের কারাগারে এক আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় শহরতলীর বাদাঘাটে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (৫৫) নামে এই বন্দির মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করা হয়।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এটা সিলেটের নতুন কারাগারে প্রথম ফাঁসির রায় কার্যকর। রায় কার্যকরে অংশগ্রহণ করেন জল্লাদ মোহাম্মদ শাহজাহান।

২০০৪ সালের মার্চে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ তার স্ত্রী সাহিদা আক্তারকে শাবল ও ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন।

সিরাজুল ইসলাম সিরাজ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজনগর এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

জানা যায়, বিচারিক সকল ধাপ শেষে সর্বশেষে ধাপ রাষ্ট্রপতির প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ তার দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু করেন। বৃহস্পতিবার তাকে রায় কার্যকরের বিষয়টি জানানো হয়। বিকেলে তার ভাই তার সঙ্গে শেষ দেখা করেন। এরপর নিয়ম অনুযায়ী কারা মসজিদের ইমাম মাওলানা হাবিবুর রহমান তাকে তাওবা ও কালেমা পাঠ করান। রাত ১১ টায় বহুল আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান আসামি সিরাজুল ইসলাম সিরাজের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন। এসময় সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম, সিলেটের ডিআইজি প্রিজনস মোহাম্মদ কামাল হোসেন, সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল, সিলেটের সিনিয়র জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন, জেল সুপার মো. মুজিবুর রহমান, সিলেট মহানগর পুলিশের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৭ মার্চ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ তিন কন্যা সন্তানের জননী তার স্ত্রী সাহিদা আক্তার ওরফে সাইদাকে শাবল ও ছুরি দিয়ে আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত রায়ে সিলেটের তৎকালিন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক তার ফাঁসির আদেশ দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামি সিরাজ হাই কোর্টে আপিল করেন। হাই কোর্ট ২০১২ সালের ১ আগস্ট আপিলের রায়ে নিম্ম আদালতের দেওয়া ফাঁসির রায় বহাল রাখেন। এরপর আসামি সিরাজ রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণভিক্ষার আবেদন করলে সেখান থেকে সেটা প্রত্যাখ্যাত হয়।

লেয়ার মুরগির খামার করে সফল তরুণ তাজুল ইসলাম, গড়ে তুলেছেন বায়োগ্যাস প্লান্ট!