সিলেট নগরীর পাঠানটুলাস্থ পল্লবী আবাসিক এলাকার সি-২৫নং বাসার একটি কক্ষ থেকে স্বামী ও স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পৃথক দুটি কক্ষের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে তাদের লাশ। আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘর থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন সুনামগঞ্জ সদরের মনপুর ইউনিয়নের ফন্দিয়া গ্রামের নির্ণয় তালুকদারের মেয়ে শিপা তালুকদার ও জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাগ ইউনিয়নের রাজাবাজ গ্রামের সুভাষ দাসের ছেলে রিপন দাস।

তারা পল্লবী আবাসিক এলাকার ধীরেন্দ্র দের ওই বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলেন। এই দম্পতির দুই বছর বয়সী একটি শিশু সন্তান রয়েছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, উদ্ধারকৃত চিরকুটের মধ্যে লিখা আছে, ‘আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছি, তোমরা আমার সন্তানকে খেয়াল রেখো।’

কিন্তু এই চিরকুটটি রিপন নাকি শিপা কে লিখেছেন, তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। আর কোনো ‘পাপের’ কথা এখানে লিখা হয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় আছে তারা।

তবে ঘটনাস্থলে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘দুজনের মধ্যে কোনো একজনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে কাজ করবে পুলিশ। তাতে বিস্তারিত তথ্য মিলতে পারে।’

প্রতিবেশী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯টার দিকে ওই ঘরের মধ্যে শিশুর কান্না শুনতে পান প্রতিবেশীরা। বাইরে থেকে তখন ডাকাডাকি করে রিপন ও শিপার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বিষয়টি জানানো হয় জালালাবাদ থানা পুলিশকে।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে পৃথক দুটি কক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান সিলেটভিউকে বলেন, ‘সকাল ১১টার দিকে আমরা খবর পাই। তারপর ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন ময়নাতদন্ত হবে।’

তিনি বলেন, ‘ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের তথ্য জানা গেছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।’

‌ প্যানেল চেয়ারম্যান সাদিকুর রহমান মিডিয়ামবার নাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন