ক্ষমা চেয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম। তিনি ভুল না করার অঙ্গীকারও করেছেন। লোভাছড়া পাথর কোয়ারি নিয়ে মো. নিজাম উদ্দিনের কনডেম মামলায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার জারিকৃত রুলের জবাবে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা, ভুল না করা এবং দায়িত্ব পালনে আরও মনোযোগী হওয়ার অঙ্গীকার করেন। রোববার হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা ও অঙ্গীকার করেন।

জানা গেছে, লোভাছড়া পাথর কোয়ারির ২০২০ সালের ১২ আগস্টের টেন্ডারে সর্বোচ্চ দরদাতা বিবেচিত হন মো. নিজাম উদ্দিন। পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. ইমরান আহমদ সেই টেন্ডারে স্বাক্ষরও করেন। পরে তিনি অবশিষ্ট টাকা জমা দিতে সিলেটের পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন নিবেদন করলেও কোন প্রতিকার পাননি।

অবশেষে তিনি হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। হাইকোর্ট তার পিটিশন (৬৪/৭৬/২০২০) আমলে নিয়ে এক মাসের মধ্যে চলমান দরপত্র অনুসারে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য জেলা প্রশাসককে আদেশ প্রদান করেছিলেন। কিন্তু সিলেটের জেলা প্রশাসক সেই আদেশ পালন না করায় নিজাম উদ্দিন পুনরায় একই বেঞ্চে কনডেম কোর্ট রিটপিটিশন দাখিল করলে আদালত বিষয়টি আমলে নেন।

আদালত জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামকে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি সশরীরে হাইকোর্টে উপস্থিত হওয়ার আদেশ দেন। জেলা প্রশাসক ক্ষমা চাইলে আদালত আবারও তাকে রোববার ( ২৮ ফেব্রুয়ারি) আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অনুয়াযী কাজী এমদাদুল ইসলাম সশরীরে আদালতে উপস্থিত হয়ে আবারও নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

লোভাছড়া পাথর কোয়ারির বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরের এখতিয়ারভুক্ত হওয়ায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অধিদপ্তরের পরিচালককে তিনি চিঠিও পাঠিয়েছেন।

বিয়ানীবাজার ফুটবল খেলোয়াড়দের ক্রীড়া সংগঠক সুবেলের উপহার