সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় আলপাইন রেস্টুরেন্টের খাবার পানিতে কেঁচো পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযাত এই রেস্টুরেন্টের খাবার পানিতে কেঁচো পাওয়ায় তাদের খাবারের মান নিয়েও এবার প্রশ্ন উঠেছে। ফিল্টারের পানিতে কেঁচো, নাকি ছাদের পানির ট্যাংকির পানিকে ফিল্টারের পানি বলে ভোজন বিলাসীদের সাথে প্রতারণা করছে আলপাইন কর্তৃপক্ষ? ব্যাংক কর্মকর্তা আশিকুর রহমান মুহিন এ অভিযোগ করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও একটি ভিডিও ও কিছু ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। আলপাইন রেস্টুরেন্টের এমন কান্ডে ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।

জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় আলপাইন রেস্টুরেন্টের বন্ধুকে নিয়ে খাবার খেতে যান ওই কর্মকর্তা। খাবারের সাথে ফিল্টারের পানিও দেবার জন্য বলেন। রেস্টুরেন্টের এক কর্মচারি জগ ভর্তি পানি নিয়ে আসে। তিনি তখন পানি খেতে চাইলে হঠাৎ তার চোখে পরে পানিতে লাল রংয়ের কি আছে। তিনি তখন ওই কর্মচারিকে ডেকে বিষয়টি জানান। এতে আলপাইন কর্তৃপক্ষ কোনো কর্ণপাত না করে পানি বদলে আবার এক জগ পানি দেন। বিষয়টি তিনি তার মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ করেন। পরে তিনি তার ফেসবুক আইডিতে ঘটনাটি পোস্ট করেন।

সিলেটে অনেক অভিজাত রেস্টুরেন্ট রয়েছে, তবে এরকম অভিযাত রেস্টুরেন্টে এমন কান্ড ভোজন বিলাসীদের হাঁপিয়ে তোলে। অন্যদিকে, খাবার পানিতে কেঁচো বিষয়টি মিমাংশা হয়েছে বলে জানিয়েছে আলপাইন কর্তৃপক্ষ।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক চৌহাট্টার স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এরকম ঘটনা অহরহ ঘটে এই আলপাইন রেস্টুরেন্টে। পঁচা খাবারের কারণে গত ক’দিন আগেও একটি ঝামেলা হয়েছে। জাসদ’র প্রভাবশালী এক নেতার রেস্টুরেন্ট আলপাইন। তাই কেউই প্রতিবাদ করতে চায় না। রেস্টুরেন্টে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান হলেও টনক নড়েনি তাদের।

সিলেটের সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, রেস্টুরেন্টের খাবার পানিতে কেঁচো! অসাস্থ্যকর খাবার কারণে সাস্থ্যের ক্ষতি যেমন তেমনি মৃত্যুও হতে পারে। কারো সাস্থ্য নিয়ে এরকম করা কোনো রেস্টুরেন্টেরই ক্ষেত্রে ঠিক না।