বরিশাল বি.এম কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো: মনিরুল ইসলামকে তার প্রথম স্ত্রী সিলেটের নাজনিন খানের দায়ের করা যৌতুকের মামলায় জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিেস্ট্রট প্রথম আদালত। বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ১১ টায় মো: মনিরুল ইসলাম আদলতে উপস্থিত হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

মামলায় নাজনিন খান  উল্লেখ করেন, ২০১০ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি এবং মো: মনিরুল ইসলাম সিলেট নগরীর একটি প্রাইভেট কলেজে একই সাথে শিক্ষকতা করতেন। এসময় তাদের মধ্যে ভালবাসার সর্ম্পক গড়ে উঠে। সেই সুবাদে তারা ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহরে কোর্ট ম্যারেজ করেন।

নাজনিন অভিযোগ করেন, মো: মনিরুল ইসলাম ৩৩ তম বি.সি.এস উর্ত্তীণ হয়ে বরিশাল চলে গেলে তার সাথে বৈবাহিক সর্ম্পককে অস্বীকার করেন।

এরপর নাজনিন অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সিলেটে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার তন্তত প্রতিবেদন এবং অন্যান্য দলিলাদি পর্যালোচনা করে আদালত উভয়ের মধ্যে বৈধ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে মর্মে অভিমত ব্যক্ত করে  মামলাটি নিস্পত্তি করেন।

এরপর মামলার পর বাদী মো: মনিরুল ইসলাম ও তার পরিবারকে বিবাহের ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার চাপ প্রয়োগ করলে মনিরুল এবং তার পরিবার উল্টো বাদিনীর কাছে ২০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। ফলে বাদী আবারও আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ২০১৭ সালে ৬ এপ্রিল সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট প্রথম আদালতে মো: মনিরুলের বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা দায়ের করেন।

মামলার নম্বর শাহপরান সি.আর.১০১/১৭। উক্ত মামলাটি আমলে গ্রহণ করে আদালত আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন।

বুধবার আসামী মো: মনিরুল আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তার স্থায়ী জামিনের আবেদন না মন্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ প্রদান করেন।

উল্লেখ্য যে, মো মনিরুল ইসলাম বিগত গত বছর বরিশালে পুণরা বিয়ে করেছেন বলে আদালতের কাছে স্বীকার করেন।