বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য সিলেটের প্রিমিয়াম ফিস এন্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান কল্লোল আহমদ ও তার স্ত্রী মারুফা আহমদকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) স্বীকৃতি দিলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। বুধবার (৬ জানুয়ারি) সিআইপির স্বীকৃতি স্বরুপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের হাতে ক্রেষ্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের সিআইপি হিসেবে ঘোষণা করে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশের শিল্পক্ষেত্রে সরাসরি বিনিয়োগকারী অনিবাসী বাংলাদেশী’ কল্লোল আহমদকে সিআইপি হিসেবে মনোনীত করা হয়। উল্লেখিত বছরে এই ক্যাটাগরিতে তিনিই একমাত্র সিআইপি। এছাড়া কল্লোল আহমদের স্ত্রী মারুফা আহমদকে ‘বিদেশে বাংলাদেশি পণ্য আমদানিকারক অনিবাসী বাংলাদেশি’ হিসেবে সিআইপি মনোনীত করা হয়।
কল্লোল আহমদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিলেট নগরীতেই। তরুণ বয়সেই পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। আর সেখোনে গিয়েই কাজ শুরু করেন বাংলাদেশী খাদ্যপণ্য নিয়ে। আমেরিকা-কানাডার চেইন শপগুলোতে দীর্ঘদিন বাংলাদেশী খাদ্যপণ্য সরবরাহ করে আসছিলেন তিনি। তার প্রতিষ্ঠিত শাহজালাল ব্র্যান্ড এখন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বহুল জনপ্রিয়। দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকলেও দেশের কথা ভুলে যান নি তিনি। তাই আমেরিকা, ইউকে, মায়ানমারের মত দেশেও প্রতিষ্ঠিত করেছেন তার মালিকানাধীন প্রিমিয়াম ফুডস এর কারখানা। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সৃষ্টি করেছেন হাজারো লোকের কর্মসংস্থান।
এছাড়া তার প্রতিষ্ঠিত মতিন এন্ড রাজিয়া ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে হাজারো ছেলেমেয়ের শিক্ষা ও আবাসনের ব্যবস্থা করছেন। এসব কাজে যোগ্য সহযাত্রী হিসেবে তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী মারুফা আহমদ। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে অবদানের মূল্যায়ন স্বরুপ বাংলাদেশ সরকার তাঁদের সিআইপি মনোনীত করেছেন।