শুরু মতো শেষটি সিলেটের দুঃস্বপ্নের মতো। শেষ চার ওভারের আসলো মাত্র ২৫ রান। এর ফলে ৭ রানে জিতা ম্যাচ হারতে হলো সিলেটকে। এটি সিলেটের টানা চতুর্থ হার।

ব্যাটিংয়ের শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের আশা ফিকে হয়ে যায় সিলেটের। অধিনায়ক নাসিরের সাথে চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়েন আইকন সাব্বির। মাত্র ৩২ বলে পাঁচ ৪ ও দুই ৬-এ তিনি অর্ধশতক পূর্ণ করা সাব্বির ৪৮ বলে ৬৮ রান করে আউট হন। টিম থেংক সোহানকে না পাঠিয়ে ব্রেসনান পাঠায়। ব্রেসনান কিছুই করতে পারেননি। অথচ এরকম মুহূর্তে কুমিল্লার সাথে সোহান জয় তুলে নিয়ে ছিলেন। সেট নাসিরও নিজের অর্ধশতক তুলে সন্তোষ্ঠ থাকতে হয়েছে।  নিলেও শেষের দিকে চার-ছয় প্হারয়োজন থাকলেও নাসির সম্পূর্ণ ব্যর্থ ছিলেন। ফলে মাত্র ৭ রান দূরে থেকে ৬ উইকেট হাতে রেখে পরাজয় মেনে নিতে হয়।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৬৯ রান তুলে মাশরাফির রংপুর। অর্ধশতক করেন গেইল। শেষ ছয় ওভারে জিততে হলে সিলেটকে ৫৬ রান করতে হবে। নাসির ও সাব্বির ক্রিজে থাকায় জয়ের আশা করতেই পারে সিলেট।

শুরু গুনাথিলাকা (৮), বার আজম (২) ও ফেচার (১২)কে দ্রুত হারিয়ে চাপে পড়ে সিলেট সিক্সার্স। শিরোপা দৌড়ে টিকে থাকতে হলে এ জয়ের বিকল্প নেই। এই সমীকরণ সামনে রেখে ব্যাট করতে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নাসির হোসেন ও আইকন সাব্বির রহমান। প্রথমে দেখে শুনে খেললেও সময়ের সাথে সাথে দুইজনই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। দলকে জয় থেকে মাত্র ৩০ রান দূরে রেখে আউট হন সাব্বির। শেষ ষোল বলে ২৩ রান তুলে সিলেট। নাসির ক্রিজে সেট ব্যাটসম্যান হয়েও দলকে জেতাতে পারেননি। তার অর্ধশতক করা েইনিংসে একটি করে চার ও ছয় রয়েছে!

রংপুরের ইনিংস সূচনা করেন গেইল ও ম্যাককোনাল। প্রথম ৮ ওভারে তুলেন এ দুই বিধ্বংসী তুলেন ৭৭ রান। দলীয় ৮০ রানের নাসির হোসেন ম্যাককোনালকে ফিরিয়ে দিলে রানে গতিতে ভাটা পড়ে। এরপর  আবুল হাসান অর্ধশতক করা গেইল (৫০) ও শাহরিয়ার নাসিফকে ফিরিয়ে দিলে ম্যাচে ফেরে সিলেট। সেখান থেকে বুপারা ও থিসেরা পেরেরায় ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তুলে রংপুর রাইডার্স। সিলেটের আবুল হাসান ২৫ রান দিয়ে ২ এবং নাসির, ব্রেসনান ও প্লানকেট একটি করে উইকেট পান।