ইউরোপ যাওয়ার স্বপ্ন ভঙ্গ হলো আরো ৩ তরুণের। ভূমধ্যসাগর পথে মরক্কো থেকে স্পেনে যাওয়ার পথে গত সোমবার রাতে নৌকাডুবিতে ৩ তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে জাকির হোসেন ও জালাল উদ্দিন বড়লেখা উপজেলার বাসিন্দা। দালালের মাধ্যমে ইউরোপ যাওয়ার পথে তাদের সলিল সমাধির খরব পাওয়া গেছে। তাদের করুণ মৃত্যুর সংবাদ শুনে বাবা-মাসহ স্বজনদের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। নিখোঁজ ও আহতদের মধ্যে অনেকের বাড়ি বড়লেখা ও বিয়ানীবাজার এলাকায় হলেও তাদের স্বজনরা মুখ খুলছেন না।

উদ্ধার হওয়া আহত এক যুবকের দেয়া সূত্রে জানা গেছে, মরক্কোর নাদুর থেকে নৌকায় করে প্রায় ৭৮ জন তরুণ স্পেনের ম্যালিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ভুমধ্যসাগরে ইউরোপগামী তরুণবাহী নৌকাটি একসময় সাগরে ডুবে গেলে অনেকেই নিখোঁজ হন। এদের মধ্যে বড়লেখার ২ তরুণসহ ৩ বাংলাদেশী তরুণের মৃত্যু ঘটে। এদের একজন হচ্ছেন জাকির হোসেন। তিনি বড়লেখা উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের সুড়িকান্দি গ্রামের আপ্তাব আলীর ছেলে। প্রায় ১ বছর পূর্বে দালালের মাধ্যমে ইউরোপ যাওয়ার চুক্তি করেন। দালাল মরক্কো রেখে কয়েক দফা অবৈধ পথে ইউরোপ পাঠানোর চেষ্ঠা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। অপর নিহত তরুণ জালাল উদ্দিন উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের উত্তর পকুয়া গ্রামের ছোয়াদ আলীর ছেলে। নৌকাডুবিতে ৩ জনের অবস দেহ ম্যালিনা দ্বীপে ভেসে উঠে।

স্থানীয় পুলিশ দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করে ম্যালিনা হাসপাতালে নিলে রাতেই সেখানে তারা মারা যান। স্থানীয় পুলিশ গুরুতর আহত আরো ৫৯ জনকে দ্বীপ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। নৌকা ডুবিতে এখন পর্যন্ত ১৬জন নিখোঁজ রয়েছেন। আহত এবং নিখোঁজ থাকা কারোরই নাম ঠিকানা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি ম্যানিলা কর্তৃপক্ষ।

মৃত্যুর হাত থেকে সৌভাগ্যক্রমে স্পেনের দ্বীপে বেঁচে উঠা আহত যাত্রীদের একজন হলেন জকিগঞ্জের তারেক আহমদ। তিনি জানান তিনিও অন্যদের সাথে ইউরোপের স্পেন যাওয়ার জন্য ওই নৌকার যাত্রী ছিলেন। স্পেনের কাছাকাছি পৌঁছার পূর্বেই তাদের বহনকারী নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকাডুবির পর থেকে অনেককে তারা খুঁজে পাননি। এরমধ্যে বড়লেখার-বিয়ানীবাজারের বেশ কয়েকজন তরুণ রয়েছেন। নৌকাডুবিতে ৩ জন বাংলাদেশী মারা গেছেন। এদের মধ্যে ২জন বড়লেখার বাসিন্দা। কয়েক জন আহত অবস্থায় ম্যানিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যরা নিখোঁজ। এর বেশী কিছু বলার মতো পরিস্থিতিতে তিনি নেই বলেই ফোন কেটে দেন।