গোলাপগঞ্জ পৌর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও এনটিভি ইউরোপের গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান চৌধুরীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী সায়ন আহমদকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করেছে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ। সে দেড় বছর থেকে পলাতক ছিলো।

গ্রেফতারকৃত সায়ন আহমদ পৌরসভার রণকেলী নয়াগ্রামের মৃত মজন আলীর বড় ছেলে।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সায়নকে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে। মামলার অপর ৫ আসামী জামিনে। তারা কয়েকদিন সাজাভোগ করার পর আদালতে জামিন আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন আদালত। আসামীদের মধ্যে একজন বিদেশে পালালেও আসামী সায়ন দেশের ভেতরে আত্ম গোপনে ছিল।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশীদ চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদে আসামী সায়ন এর অবস্থান চিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। সে দীর্ঘ দিন থেকে পলাতক ছিল।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সংবাদ প্রকাশের জেরে সায়ন ও তার ভাই দিদারুল আলমের নেতৃত্বে সাংবাদিক মাহবুবের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। হামলাকারিরা তাকে প্রাণে মারতে চেয়েছিল। এ হামলায় সাংবাদিক মাহবুবরে বাম হাতের হাড় ভেঙ্গে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে। তিনি একই সালের ১৭ ফ্রেবুয়ারি সায়ন তার ভাই দিদার ও মঞ্জুর সহ ৬জনের নাম উল্লেখ করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি সোমবার দুপুর ২টায় শুনানী শেষে সিলেটের বিচারিক ১ম আদালত বিচারক মো: হারুনুর রশীদ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আদালত উল্লেখ করেন আসামীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান আসামী দিদারুল আলম দিদারকে ২বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দন্ডিত করা হয়। এছাড়াও আসামী সায়ন আহমদ, মঞ্জুর আহমদ, জেবুল আহমদ, কামরুল ইসলাম, রাজন আহমদকে ১বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ৫শত টাকা করে অর্থদন্ড অনাদায়ে ৫দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।

করোনা- এক সপ্তাহে বিয়ানীবাজারে ২ জনের মৃত্যু,২৮ জন প্রবাসী আক্রান্ত