সিনিয়র সাংবাদিকদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিলেন বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি অবসরে যাবেন আগামী ২৮জুন। তারপরও প্রিয় কর্মস্থলের সবখানে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে বিদায়ের করুণ সুর। দীর্ঘদিনের দায়িত্ব পালনকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতা তাকে বিদায় বেলায় আপ্লুত করেছে। তিনি এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছিলেন, এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষক জীবনের ইতি টানছেন। এজন্য বিদায় বেলা তার চোখ জলে ভরে উঠে।

তিনি অবসরে যাওয়ার আগে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এ মতবিনিময়কালে তিনি স্মৃতিচারণ করেন ছাত্র ও শিক্ষক জীবনের। এ সময় উপাধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

আলাপচারিতায় উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ দীর্ঘদিনের সহকর্মী বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রদান, সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি ও শিক্ষার্থী-অভিভাবদের সহযোগিতায় দীর্ঘ ১১ বছর সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারায় তাদের কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পঞ্চখণ্ডের ভূমিপুত্র অধ্যাপক দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ। তিনি বলেন, দীর্ঘ দায়িত্বকালিন সময়ে ছা্ত্র-শিক্ষকসহ কারো সাথে বাজে আচরণ করিনী। আগামী পথ চলায় এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সুখস্মৃতি আমাকে আন্দোলিত করবে। বলতে গেলে আমার আমাগি দিন কাটবে এ প্রতিষ্ঠানের স্মৃতি রোমন্তন করে। সাংবাদিকরা কলেজের প্রতিটি কাজে সহযোগিতা করেছেন জানিয়ে বলেন, সবার সাথে বিদায় নেয়ার সুযোগ এই করোনাকালে হয়ে উঠেনি। যেভাবে বিদায় নিলে মনকে শান্ত রাখা যেত বৈরী সময়ের কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। তবে পঞ্চখণ্ডের সন্তান হিসাবে এখানকার সকল প্রিয়জনের সাথে দেখা হবে সব সময়। বিদায়কালে কৃতজ্ঞতা জানান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী, বিয়ানীবাজারের কৃতি সন্তান নুরুল ইসলাম নাহিদকে। কলেজের সকল উন্নয়নে সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর পরামর্শ ও সহযোগিতা কলেজকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।

আগামী ২৮ জুন তিনি অবসরে যাবেন।তাঁর মতো করে আর কোন অধ্যক্ষ এভাবে বিদায় নেননি। বলে যাননি আমি যাচ্ছি, এ প্রতিষ্ঠানের দিকে সবাই খেয়াল রাখবেন। বিদায় ক্ষণ যত ঘনিয়ে আসছে সবুজ ক্যাম্পাস জুড়ে বইছে হাহাকার। তাঁর এ বিদায়ে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের একটি অধ্যায়ের সমাপ্তী ঘটছে। তিনি কলেজের সোনালী সময়ের অভিভাবক ছিলেন।

করোনায় ব্যাহত এইচএসসির প্রস্তুতি, ফল নিয়েশংকায় পরীক্ষার্থীরা