বিয়ানীবাজারসহ আশপাশ এলাকার বাজারে শীতের সবজির দাম এখনো আকাশ ছোঁয়া। অগ্রহায়ন মাসের ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও সবজির দাম মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্ন ভিত্তের নাগালের বাইরে রয়েছে। রাজারে একটি মাঝারি লাউয়ের দাম একশত টাকা থেকে আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ফুল কপি কিংবা বাধা কপির দামও ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি (লঘিউরি) ৫০-৬০ টাকা, ছোট আকারের শীম (উরি) ৯০-১০০ টাকা, প্রতি কেজি মুলার দাম ৩০-৩৫ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচা মরিচ ও ধনিয়া পাতা কেজি ১৫০ থেকে ২শত টাকা বিক্রি হচ্ছে। লাই পাতার দামও নাগালের বাইরে। ছোট আকারের এক আঁটি লাই পাতার দাম ২০ টাকা।

ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বলেন, ২০ টাকা দিয়ে এক আঁটি লাইপাতা কিনলে কিছুই হবে না। প্রয়োজন দুই আঁটির। এক বেলার চাটনির জন্য লাই পাতা কিনতে হলে ৪০ টাকা গুণতে হবে!

সবজি ব্যবসায়ীদের জানান, স্থানীয়ভাবে সবজি উৎপাদন না হওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়ছে। যেখানে গত বছর লাউ ৩০-৪০ বিক্রি করেছি এখন একই আকারের লাউ ১০০ টাকার উপরে বিক্রি করতে হচ্ছে। বিশেষ করে বন্যার কারণে বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ এলাকার রবিশস্য উৎপাদন তেমন না হওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।