বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। গভীর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝ’ড় বুলবুল আরও শ’ক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে উপকুল অঞ্চলে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সিলেটের আকাশ শুক্রবার দুপুর থেকে মেঘাচ্ছন্ন হয়ে যায়। আগামীকাল শনিবার মধ্যরাতে দেশের উপকুল অঞ্চলে বুলবুল আগাত করতে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা ধারণা করছেন। তবে যে গতিতে ‍বুলবুল উপকুলের দিকে এগেুচ্ছে তাতে উপকুলের কাছাকাছি আসার পর বুলবুল দুর্বল হতে পারে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

এটি বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। আগামীকাল শনিবার মধ্যরাতের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের খুলনা-বরিশাল অঞ্চলের ওপর আ’ঘাত হা’নতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে তারা বলেছেন, উপকূলে আ’ঘাত হা’নার আগে কিছুটা দুর্বল হয়ে যেতে পারে ‘বুলবুল’।

আজ ৮ নভেম্বর শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর কারণে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। এ জন্য দেশের তিনটি সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারকে শুক্রবার ভোর ছয়টা থেকে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযা’নগুলোকে সাগরে চলাচল না করে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরও শ’ক্তিশালী হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে আসতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দ’মকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান সম্পর্কে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৭৬৯ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।