আগামী শনিবার থেকে বিদেশগামী কর্মী ও ছুটিতে দেশে আটকেপড়া প্রবাসী কর্মীদের জন্য ফ্লাইট চলবে। এইসব ফ্লাইট সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরে যাবে।

প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ সমকালকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আশা করা যাচ্ছে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ১৭ এপ্রিল থেকে বিশেষ ফ্লাইট চলবে।

গত বুধবারই সিদ্ধান্ত হয়েছিল ফ্লাইট চলবে। তার দিনক্ষণ ও পদ্ধতি ঠিক করতে বৃহস্পতিবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্মে ভার্চুয়াল সভা হয়। এতে প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, বিমান সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোস্তাফিজুর রহমানসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

করোনার সংক্রমণ রোধে গত বুধবার থেকে চলছে আট দিনের ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন। বন্ধ রাখা হয়েছে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমান যোগাযোগও। এতে চরম ভোগান্তি ও অনিশ্চয়তায় পড়েছেন এই আট দিনের বিমানের টিকিট কেটে রাখা বিদেশগামী কর্মীরা। তাদের প্রায় সবাই কর্মস্থলে গিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হোটেল বুকিং দিয়েছেন। বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় নির্ধারিত সময়ে বিদেশ যেতে না পারলে বুকিংয়ের এ টাকা মার যাবে। অনেকের ভিসা ও রি-এন্টির মেয়াদ শেষের পথে।

এমতবস্থায় বিমান চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হন প্রবাসীরা। রিক্রুটিং এজেন্সি ও ট্রাভেল এজন্টরা সংবাদ সম্মেলনে করে বিমান চালু রাখার দাবি জানায়। তাদের তথ্যানুযায়ী, ৩০ হাজার কর্মী আটকা পড়বেন ফ্লাইট বন্ধ হলে। তাদের চাকরি হারানোর শঙ্কা রয়েছে।

আলোচনা সমালোচনার মুখে বুধবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত হয় লকডাউনে প্রবাসী কর্মীদের জন্য ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। বৃহস্পতিবারের বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পাঁচটি দেশে ১০০ থেকে ১২০টি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। চাহিদা সাপেক্ষে তা কমবেশি করা হবে। যারা আগাম টিকিট কেটেছেন তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাবেন এইসব ফ্লাইটে। বাকিরা ভিসা ও রি-এন্ট্রির মেয়াদ সাপেক্ষে টিকিট পাবেন। তবে আগের ভাড়াতেই বিশেষ ফ্লাইটে যাত্রী পরিবহন করা হবে।