করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের পক্ষ থেকে দুই দফা সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সর্বশেষ মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে সর্বাত্মক লকডাউন ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ মানুষজনের চলাচলের প্রতি কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

চলমান লকডাউনের কারণে ঈদ কেন্দ্রিক ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেওয়ার দাবি করছেন। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে দোকানমালিকদের ধৈর্য ধরতে বলা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন মনে করছেন আগামী সোমবার (২৬ এপ্রিল) থেকে দেশের সব দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেওয়া হতে পারে।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছি। আমরা সবসময় মনেকরি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অভিভাবক হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই জন্য আমরা কখনো ওনার কাছে আবেদন করে খালি হাতে ফেরত আসিনি। আগামী সোমবার থেকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে গত ১৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছি। আমরা আশাবাদী, এ পর্যন্ত আমরা যখনই প্রধানমন্ত্রীর কাছে যা চেয়েছি তিনি আমাদের দিয়েছেন। রমজানের আগেও আমাদের ৫ দিনের সময় দিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে হ্যাঁ-না কিছুই বলা হয়নি। তবে আমরা আশা করছি, আগামী রোববারের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত আসবে।

গত রোববার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির অফিস কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ২২ এপ্রিল থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমল, মার্কেট, দোকান ও ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে নির্দেশনা, শ্রমিক-কর্মচারীদের দুই মাসের বেতন ও বোনাসের ৯৬ হাজার ৭০৮ কোটি টাকার অর্ধেক ৪৮ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা ঈদের আগে ঋণ প্রণোদনা হিসেবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রদান এবং দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অচলাবস্থা দূর করার লক্ষ্যে আগামী তিনমাসের মধ্যে দেশকে টিকাদানের আওতায় আনার দাবি জানায় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ও ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) দোকান মালিক সমিতি।

এর আগে গত ৬ এপ্রিল দিনে ৪ ঘণ্টা দোকান খোলা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। চিঠিতে, ক্ষুদ্র, পাইকারি, খুচরা মার্কেট ও দোকান সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে খোলা রাখতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানায় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।