সিলেটে ৮ম নারী এশিয়া কাপের পর্দা উঠছে। শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল ৯টায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়ার নারীদের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে উদ্বোধনী ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মুখোমুখি হচ্ছে থাইল্যান্ড। এদিন দ্বিতীয় খেলা দেড়টায় অংশ নেবে ভারত-শ্রীলঙ্কা।

আসরের সবকয়টি ম্যাচ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মূল মাঠ ও আউটার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। ২৪ ম্যাচের এ টুর্নামেন্টে ফাইনাল হবে ১৫ অক্টোবর। এ টুর্নামেন্টের সবকয়টি খেলা বিনা টিকিটে দেখা যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। পাশাপাশি ম্যাচগুলো দেখা যাবে ভারতীয় স্পোর্টস চ্যানেল ‘স্টার স্পোর্টস’সহ দেশি কয়েকটি চ্যানেলে। টুর্নামেন্ট সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিসিবি ও এসিসি।

এবারের আসরে স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও অংশ নিচ্ছে- ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইতোমধ্যে সব কয়টি দল সিলেটে এসে পৌঁছেছে। ভারত ছাড়া অন্য ৬ দল সিলেটে এসে পৌঁছে বুধবার। আর বৃহস্পতিবার এসে পৌঁছায় ভারত। ৭ দলের জন্য তিনটি আবাসন ব্যবস্থা করা হয়েছে। নগরের এয়ারপোর্ট সংলগ্ন গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল ও রিসোর্টে উঠেছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত। থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত উঠেছে নগরের হোটেল রোজ ভিউতে। আর মালয়েশিয়া নারী ক্রিকেট দল উঠেছে শহরতলীর খাদিমপাড়াস্থ নাজিমগড় গার্ডেন রিসোর্টে।

স্বাগতিক বাংলাদেশ ৩, ৬, ৮, ১০ ও ১১ অক্টোবর যথাক্রমে লড়বে পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও আরব আমিরাতের বিপক্ষে।

উদ্বোধনী খেলার আগে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শেষবারের মতো নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড। এদিন দুপুরে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলনের আগে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন- টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

তিনি বলেন- ‘এবার দরকার শিরোপা ভালো খেলার সময় কিন্তু এখন ইতোমধ্যে শেষ। যেহেতু ট্রফি আমাদের ছিল, সুতরাং চেষ্টা করবো ট্রফিটা যেন আমাদেরই থাকে আর ভালো ক্রিকেট কিন্তু আমরা খেলছি। এমন তো না যে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি না।’

‘তো ক্রিকেট তো অবশ্যই…ভালো ক্রিকেট খেললে ট্রফি আমাদের ঘরে আসবে। সব মিলিয়ে লক্ষ্য ভালো ক্রিকেট খেলার এবং ট্রফি ধরে রাখার।’

টুর্নামেন্টের আগে কি চ্যালেঞ্জ দেখেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘চ্যালেঞ্জ বলতে এখানে শুধু এটাই থাকবে যে আমরা সব সময়ই বলি আমরা যে ম্যাচগুলো জিতি, সেখানে পুরো দলের অবদান দরকার হয়। ব্যক্তিগতভাবে একজন খেলোয়াড় অনেক বেশি ভালো খেলার পর কোন ম্যাচ জিতেছি তা কিন্তু হয়নি।’

‘দেখা যাচ্ছে যে সবার ছোট ছোট অবদান থাকে সে ম্যাচগুলো আমরা জিতেছি। সুতরাং চ্যালেঞ্জ আমার কাছে মনে হয়, আমাদের পক্ষ থেকে সেটাই থাকবে যে আমরা সবাই মিলে যে ম্যাচে পারফর্ম করতে পারব, না করতে পারাটাই থাকবে চ্যালেঞ্জ। সবাই মিলে একসাথে কন্টিবিউট করাই থাকবে চ্যালেঞ্জ।’

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্র্যান্ড ম্যানেজার জয়দ্বীপ দাস বলেন, ‘এবারের এশিয়া কাপ টিকিট ছাড়া দেখা যাবে। ইতোমধ্যে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করি, ক্রিকেটপ্রেমীরা মাঠে এসে খেলা উপভোগ করবেন।’

অপরদিকে, নারী এশিয়া কাপকে ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে মহানগর পুলিশ। খেলোয়াড়-কর্মকর্তা ও ম্যাচ অফিসিয়ালদের নিরাপত্তায় এমন নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (অতিরিক্ত দায়িত্ব মিডিয়া) সুদ্বীপ দাস।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে সব কয়টি দল সিলেটে এসে পৌঁছেছে। ক্রিকেটার-কর্মকর্তা ও ম্যাচ অফিসিয়ালদের নিরাপত্তায় চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। তাদের নিরাপত্তায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।’

‌যুক্তরাষ্ট্রে বিয়ানীবাজারবাসীর আয়োজনে প্রয়াত অধ্যাপক কিবরিয়ার শোক সভা