সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকার রশিদপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৬ জন। এর মধ্যে ৩ জনের হাত পায়ের বিভিন্ন অংশে একাধিক ভাঙা থাকায় তাদের অবস্থা কিছুটা গুরুতর। আর অন্যদের অবস্থা তুলনামূলক স্বাভাবিক। গুরুতর আহত ৩ জনের মধ্যে একজন হলেন দুর্ঘটনায় নিহত ডা. আল মাহমুদ ইমরান খানের স্ত্রী ডা. শারমিন আক্তার অন্তরা (২৯)। তাকে অস্ত্রোপচারের পর আইসিউতে রাখা হয়েছে।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়।

এদিকে গতকাল এ দুর্ঘটনায় আহত মোট ১৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হলেও দুই নারীকে তাদের স্বজনরা গতকালই ঢাকায় স্থানান্তর করেছেন। তারা দুইজন ঢাকার বাসিন্দা ছিলেন এবং তাদের কোমরসহ বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ভাঙা ও গুরুতর জখম আছে বলে জানিয়েছেন ডা. হিমাংশু লাল রায়।

তিনি বলেন, ‘গতকাল রাত সাড়ে ১০ টায় আমি যখন পরিদর্শন করি তখন দেখেছি মোটামুটি সবাই স্বাভাবিক আছেন। তুলনামূলক ঝুঁকিমুক্ত। তবে ৩ জনের হাত পায়ের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ভাঙ্গা থাকায় অবস্থা গুরুতর বিবেচনা করা হচ্ছে। আর বাকিদেরে ছোটখাটো জখম আছে। গুরুতর ৩ জনের মধ্যে নিহত ডা. ইমরান খানের স্ত্রীকে আইসিউতে রাখা হয়েছে। তবে তাঁর আইসিউ সাপোর্ট লাগছে না। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণসহ কয়েকটি কারণে তাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য আইসিউতে রাখা হয়েছে।

এদিকে এ দুর্ঘটনায় সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম। এসআই লোকমান হোসেন বাদী হয়ে দুর্ঘটনাকবলিত দুই বাসের চালকদের আসামি করে মামলাটি করেন। সেই সাথে ক্ষতিপূরণ হিসেবে একটি আর্থিক পরিমাণও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

ওসি বলেন, ‘উভয় বাসের চালক নিহত হয়েছেন। তবে এখন তদন্ত করে দেখতে হবে যারা গাড়ি চালাচ্ছিলো তারা আসলেই চালক নাকি অন্য কেউ।’

এর আগে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭ টায় দক্ষিণ সুরমার রশিদপুর নামক স্থানে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লন্ডন এক্সপ্রেস (ঢাকা মেট্রো-ব ১৫-৩১৭৬) ও সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকামুখী এনা পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৭৩১১) দ্রুতগতির দুটি বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। এতে বহু যাত্রী হতাহত হন। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ দুর্ঘটনায় দুই বাসের চালক ও সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের একজন চিকিৎসকসহ এখন পর্যন্ত ৮ জন নিহত হয়েছেন।

সাফল্যের চতুর্থ বর্ষে পূর্ব সিলেটের জনপ্রিয় টেলিভিশন এবিটিভি