বিয়ানীবাজার পৌরসভার পূর্ব সুপাতলা জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে রমজান মাসে সংঘর্ষের মামলায় এজাহারভূক্ত দু’আসামীর জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করেছেন। আজ মঙ্গলবার আদালতে আত্মসমর্পন করে আসামীরা জামিন আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করেন। এ মামলার  অপর দুই  আসামী নওমুসলিম সুমন আহমদ ওরফে বিমল এবং গাড়ি চালক হাসান আহমদ এখনও পলাতক রয়েছেন।

জানা যায়, আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ মামলার ১নং আসামী মাসুক আহমদ ও তার পুত্র ৩নং আসামী রুহেল সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত দুই পক্ষের শুনানি শেষে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট সুমি বেগম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামীদ্বয়কে কারাগারে প্রেরণের জন্য পুলিশকে নিদের্শ প্রদান করেন।

আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন এবং বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট অমলেন্দু নারায়ণ ভট্টাচার্য্য। আদালতে আসামী পক্ষের আইনজীবী আসামীদের পক্ষে জামিনের আবেদন করলে প্রবল বিরোধীতা করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী।

সূত্রমতে, গত ৩ জুন রমজান মাসে রাত ৩টায় পূর্ব সুপাতলা জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মিছবাহ আহমদ মাইকে সেহরি খাওয়ার আহবান  করলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটার অজুহাতে  খাসাড়িপাড়ার মাসুক আহমদ মুয়াজ্জিনকে মাইক বন্ধ রাখার নির্দেশ সুপাতলা গ্রামের মাতাব উদ্দিন গংদের সাথে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ নিয়ে মাসুকের সাথে বাগবিতণ্ডা এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাতাব উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। অভিযোগ রয়েছে মাসুক পক্ষের লোক কয়েক রাউন্ড বন্দুকের গুলি ছোঁড়ে। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মাতাবকে প্রথমে বিয়ানীবাজার এবং পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর দিকে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে যাওয়ার পথে জিল্লুকে বিমলের নেতৃত্বে মাসুকের ছেলে রুহেল সহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে।

এ ঘটনায় আহত মামুনুর রশীদ জিলুর পুত্র ফাউজুল আজিম মিন্টু ৫জনকে আসামী করে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার ৪নং আসামী জুয়েল আহমদ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনে মুক্তি পান।