পুরো পৃথিবীই বদলে গেছে! আগের মতো স্বাভাবিক কিছু নেই। ফুটবলও সেই বদলের মিছিলে। যেখানে গ্যালারিভরা দর্শক থাকত, করতালি হতো, স্লোগান উঠত, ধুয়ো শোনা যেত এখন সেসব স্বপ্নের মতোই। হয়তো এই অবস্থা থাকবে না। আবারও দর্শক দিয়ে সাজবে স্টেডিয়ামগুলো। তবে এই উত্থানপতনের মধ্যেও কেউ কেউ আছেন ঠিক আগের মতো। তাদেরই একজন লিওনেল মেসি। সঙ্গে বার্সার নামটাও যোগ করা যায়। ক্লোজডোর, করোনার শঙ্কা, তবু চিরচেনা রূপেই দেখা গেল টিম বার্সাকে। দল হয়ে পারফর্ম করে রিয়াল মায়োর্কাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল তারা। সেইসঙ্গে মেসিকেও দেখা গেল আগের মতোই। গোল করলেন, করালেন। বলা যায়, যেমন বার্সা, তেমন মেসি।

মায়োর্কার সঙ্গে বার্সার অভিজ্ঞতা বেশ মধুর। যদি মেসির কথাও বলি, তবে আরও মধুর। এই ম্যাচের আগে ২০১৯ সালের শেষ দিকে বার্সার মাঠে অতিথি হয়ে এসেছিল মায়োর্কা। সে ম্যাচে বার্সার জালে দু’বার বল পাঠালেও পাঁচ গোল ঠিকই হজম করে তারা। ওই পাঁচ গোলের তিনটিই করেছিলেন মেসি। তারও আগের স্কোরশিটে রয়েছে মেসির নাম। তাইতো এই ম্যাচেও কম যাননি নাম্বার টেন। শুরুটা অবশ্য করেন আরতুরো ভিদাল। দুই মিনিটের মাথায় প্রথম আক্রমণেই গোল। ভিদালের পর সদ্য বার্সায় নোঙর করা ব্রাথওয়েট ব্যবধান করলেন দ্বিগুণ। গত ফেব্রুয়ারিতে লেগানেস থেকে বার্সায় এসেছেন। আর মৌসুমের মাঝপথে নেমে গোল করা। সেটা যদি হয় প্রথম। তাই ম্যাচের পর ব্রাথওয়েটের মুখে ছিল প্রাপ্তির হাসি, ‘বার্সার হয়ে প্রথম গোল, সত্যিই অবিশ্বাস্য আনন্দের। এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কী হতে পারে। অবশ্য জয় দিয়ে পুনরায় মৌসুম শুরু করাটাও আমাদের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। ম্যাচের ফল নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। এভাবে খেলা চালিয়ে গেলে মৌসুম শেষে দারুণ কিছু মিলবে।’ ব্রাথওয়েটের পর ৭৮তম মিনিটে জর্দি আলবা বার্সাকে তৃতীয় গোলটি উপহার দেন। যোগ করা মিনিটে মেসি মায়োর্কার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেছেন। যার সুবাদে নতুন রেকর্ডেও নাম উঠেছে আর্জেন্টাইন তারকার। ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে লা লিগার টানা ১২ আসরে অন্তত ২০টি করে গোল করলেন মেসি। চলমান মৌসুমে এটাই লিগে সর্বোচ্চ গোল। মায়োর্কাও চেষ্টা কম করেনি। অনেক চেষ্টা করেও মেসিকে চোখে চোখে রাখতে পারেনি তারা। তবে সুযোগ পেলে ঠিকই আক্রমণ সাজিয়েছে। তবে মায়োর্কার ওই আক্রমণগুলো পায়নি কাঙ্ক্ষিত নিশানার খোঁজ। অনেকদিন পর মাঠে নামা। গত ১১ জুন থেকে শুরু হওয়া লা লিগায় বার্সার যাত্রাটা হলো উড়ন্ত। তাতে কোচ সেতিয়েনও অনেকটা খুশি। ছাত্রদের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘অনুভূতিটা দারুণ। অনেক দিন পর মাঠে নামায় ছন্দে গরমিল মনে হতে পারে অনেকের। তবে আমি সন্তুষ্ট। সবাই ভালো ফুটবল খেলেছে।

সংবাদ সৌজন্য- দৈনিক সমকাল

করোনায় দাফন কাজের সেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতা করলোওয়ার্ল্ড বিডি হিউম্যান হেল্প এসোসিয়েশন