মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গলের পুরান বাজার থেকে কলুব্রিডি প্রজাতির দূর্লভ মারাত্মক বিষধর লালডোরা ‘ব্রেড নেকড কিলব্যাক’ সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোর বেলা খবর পেয়ে সাপটিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সাপটিকে শ্রীমঙ্গল বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে রাখা হয়েছে।

বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব জানিয়েছেন, শ্রীমঙ্গল পুরান বাজার থেকে আজ সোমবার ভোরে লোকজনরা খবর দেয় অচেনা একটি সাপ বাজারে ঢুকে পড়েছে। লোকজন সাপটিকে মারতে তাড়া করে। এ খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে অতি কৌশলে এ সাপটি ধরা হয়।

সজল দেব জানান, এই প্রথম এ প্রজাতির সাপের সঙ্গে তার দেখা। অনেক সাপের সাথে পরিচয় থাকলেও এর আগে আর কোনদিন তা দেখেননি। তিনি জানান, সাপটি লম্বায় সাড়ে তিন ফুটের মতো। দেহের উপরি অংশ সবুজাভ-ধূসর রঙের। গলার চারিদিক সিঁদুরে লাল। নীচ দিক হলদে ও পেটের আঁশের বাইরের কিনারায় কালো কালো ফোঁটার সংমিশ্রণ। চোখের আকৃতি বেশ বড়সড়ো।

সাপের ইতিবৃত্ত ঘেঁটে তিনি জানিয়েছেন, এটি কলুব্রিডি পরিবারের (গোত্র) সাপ। ইংরেজী নাম- ব্রেড নেকড কিলব্যাক। এরা সাধারণত মিশ্র চির সবুজ বনে বসবাস করে। একসময় এ প্রজাতির সাপ চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সবুজ বনে তাদের বিচরণ ছিল। সাপটি দিবাচর প্রাণী এবং অত্যন্ত বিষধর। উত্তেজিত হলে মাথা ও গলা উঁচু করে গোখরা সাপের মতো ফণা তোলে। এরা ব্যঙ, গিরগিটি, ছোট ছোট স্তন্যপ্রাণী ও মাছ খেতে পছন্দ করে।

সজল দেব লালডোরাকে তার বন্যপ্রাণী ফাউন্ডেশনের খাঁচায় আলাদাভাবে রেখেছেন। বিকালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের সহযোগিতায় লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।

বিয়ানীবাজারের বেশিভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার