দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে এ বছর ভর্তি পরীক্ষার বদলে লটারিতে ভর্তি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বুধবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী একথা জানান। তিনি বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে সামনে রেখে এছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প ছিল না। অনেকে হয়তো বলতে পারেন, ভর্তি পরীক্ষায় মেধাবৃত্তির বদলে ভাগ্য ভিত্তি করে যাচ্ছে। এবার করোনার কারণে হলেও বিদ্যালয়গুলোতে সাম্য তৈরি হবে।

শিক্ষামন্ত্রী আরও দু’টি সিদ্ধান্তের কথা জানান। তা হলো, বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে রাজধানী ঢাকায় ক্যাচমেন্ট এরিয়া ৪০ শতাংশের পরিবর্তে ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। দ্বিতীয়ত, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে আগে শিক্ষার্থীদের একটি স্কুল ক্লাস্টার পছন্দ করতে হতো, এখন পাঁচটি স্কুল পছন্দ করতে পারবে। আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে সব বিদ্যালয়ের লটারি প্রক্রিয়া শেষ করা হবে বলেও এ সময় জানান শিক্ষামন্ত্রী।

প্রসঙ্গত প্রতিবছর প্রথম শ্রেণির ভর্তিতে লটারি এবং দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা হয়। তবে করোনাভাইরাসজনিত (কভিড-১৯) পরিস্থিতির কারণে ২০২১ সালে অনলাইনের মাধ্যমে সব ক্লাসেই শিক্ষার্থী ভর্তির ফরম বিক্রি করা হবে; এরপর তা যাচাই-বাছাই করে লটারির জন্য নির্বাচন করবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। একাধিক ধাপে লটারি করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এর ফলাফল নিজ নিজ বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক ও কয়েকজন অভিভাবক নিয়ে গঠিত ভর্তি কমিটি এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।

সন্তানের ভর্তি লটারিতে সব অভিভাবকের উপস্থিত হওয়ার সুযোগ না থাকলেও তাদের ভেতরের পাঁচ থেকে সাতজনকে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। তাদের ভর্তিচ্ছু সব অভিভাবকের প্রতিনিধি হিসেবে ভর্তি কমিটিতে যুক্ত করা হতে পারে।

বর্তমানে দেশে ৬৮৩টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে শুধু রাজধানীতে আছে ৪২টি। বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ১৯ হাজার ৪২১টি। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৭৭৫টি এমপিওভুক্ত, বাকি দুই হাজার ৬৪৬টি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।