মাছ নেই, বাজার আছে। মৎস্য ব্যবসায়ীরা পাতা চেয়ার টেবিলে বসে খোশগল্প করছেন, চা পান করছেন। যেন দীর্ঘদিন পর তাদের ফুসরত মিলেছে! এ আড্ডায় নেই অনির্দিষ্টকালে ধর্মঘটের কোন লেস। আজ বুধবার থেকে বিয়ানীবাজার পৌরশহরে মাছ বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। পৌর কিচেন মার্কেট নিয়ে জটিলতা ও নির্ধারীত জায়গায় মৎস্য ব্যবসায়ীদের যেতে অনীহা প্রকাশ করতে তারা ধর্মঘটের ডাক দেন।

প্রতিদিনের মতো মাছ বাজারে আসেন ব্যবসায়ীরা। আজ আর মাছ সওদা না করলেও পাতা চেয়ার, বেঞ্চে বসে খোশ গল্পে মেতে উঠেন ব্যবসায়ীরা। তাদের একজনের সাথে ধর্মঘট নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে প্রথমে রাজি হননি । তিনি বলেন, সভাপতি-সেক্রেটারি আছে তাদের সাথে আলাপ করুন। অনেক পীড়াপীড়িতে বললেন, ভাই কয়েকদিন মাছ বিক্রি আমরা করবো না। এটা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত কেউ ভাঙ্গার সাহস দেখাবে না। যে দেখাবে তার বিপদ অনীবার্য। তবে আমরা কয়েকদিন পরিস্থিতি দেখে আশপাশের বাজারে গিয়ে মাছ বিক্রি করতে পারবো। আপাতত বৈরাগীবাজারের আব্দুল্লাহপুর এলাকায় মাছ বিক্রি করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করা হয়েছে। অপর ব্যবসায়ী বলেন, শুধু আব্দুল্লাপুর না- গডাউন, ঈদগাহবাজার, নালবহর বাজারেও আমরা যেতে পারবো।

মৎস্য ব্যবসায়ীদের এ ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে এর প্রভাব আগামী সংসদ নির্বাচনে পড়বে। এক মৎস্য ব্যবসায়ী নেতা বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ। যে সময় আমাদের অধিকার হরণ করা হোক না কেন বর্তমানে আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পেতে চাই। আমরা আমাদের অধিকার ফিরে না পেলে এ প্রভাব পড়বে সর্বক্ষেত্রে। আগামী নির্বাচনের ভোটেও এ প্রভাব যে পড়বে না সে নিশ্চিয়তা কেউ দিতে পারবে না। তিনি বলেন, বিয়ানীবাজারে আমাদের ভোট আছে ৩৬ হাজার।

ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি বিয়ানীবাজারের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদ, পৌর কিচেন মার্কেটের নিচ তলা ব্যতিত মার্কেটের অন্য কোন তলায় মাছ বাজার গিয়ে বেশ দিন স্থায়ী হতে পারেনি। বড়লেখায় দ্বিতীয় তলায় মাছ বাজার নেয়ার পর সেখান থেকে কয়েক মাস থাকার পর ব্যবসায়ীরা অন্যত্র চলে যান। জনগণের চাপে কিচেন মার্কেটের নিচতলায় মাছ বাজারে নিয়ে আসতে বাধ্য হয় পৌরসভা। একই অবস্থা ছিল হেতিমগঞ্জ কিচেন মার্কেটে। আন্ডারগ্রাউনে মাত্র কয়েকদিন থাকার পর ব্যবসায়ী সিএন্ডবির (সওজ) জায়গা পুনরায় গিয়ে বসেন। আজও সেখানে বাজার রয়েছে। এসব অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দ্বিতীয় তলা কিংবা আন্ডারগ্রাউনে যেতে পারছি না।