সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পুজার মহাষষ্ঠী আজ মঙ্গলবার বিকেলে শুরু হবে। কাঁসর ও শঙ্খের শব্দ শিহরণের মধ্যে দিয়ে আজ থেকে শুরু হলো পাঁচ দিনব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গপুজা।

বিয়ানীবাজার উপজেলায় সর্বজনীন ৩৪টি এবং ব্যক্তিগত ১৫টিসহ ৪৯টি মন্পডে সনাতন ধর্মের অনুসারীরা এ উৎসব পালন করবেন। গত বছরও ৪৯টি মন্ডপে দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেট জেলায় পাঁচ শতাধিক মন্ডপে দূর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করেছেন মন্ডপের দায়িত্বশীলরা। গতকাল সোমবার বোধন শেষ হয়েছে।

দুর্গাষষ্ঠীর মধ্য দিয়েই দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সারাদেশে এখন বইছে উৎসবের আমেজ। দুর্গতি নাশিনী দেবী দুর্গার আগমনে উচ্ছ্বসিত ভক্তকুল। দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা করবেন ভক্তরা। ষষ্ঠী পূজা উপলক্ষে সন্ধ্যায় পূজামণ্ডপে ভক্তিমূলক গান, রামায়ণ পালা, আরতিসহ নানা অনুষ্ঠান হবে।

৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বিজয়া দশমী-প্রতিমা বিসর্জন। মন্দিরে মন্দিরে মন্ত্র উচ্চারণ আর প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বিশ্বের অশুভকে তাড়িয়ে শুভ কামনা করা হবে।

এদিকে আজ সকাল থেকে সিলেটে প্রচুর পরিমানে ব্রজসহ বৃষ্টি হচ্ছে। ষষ্ঠী, সপ্তমী এ বৃষ্টিপাত থাকবে বলে সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

সিলেট মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদর তথ্য অনুযায়ী, এবারে সিলেট জেলা ও মহানগরসহ ৫১৬টি মন্ডপে ও ৬০টি ব্যক্তিগত পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যা গত বছরের চেয়ে কম। গত বছরে ৫৮৫টি মন্ডপে পূজা হয়েছিল। মহানগরে সার্বজনীন গত বছরের ৪৫টি ছিল, এবার ২টি বেড়ে ৪৭টি ও ১৭টি ব্যক্তিগত পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, দূর্গাপুজা উপলক্ষে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশ, সাদা পোশাকে পুলিশ ও আনছার ভিডিপির সদস্যরা প্রত্যেক পুজা মন্ডপে দায়িত্ব পালন করবেন। আশা করি সকলের সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পুজা শেষ হবে।

 

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল ইসলাম তালুকদার বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়েছে।