প্রথম শ্রেণির বিয়ানীবাজার পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনার অসংখ্য স্তুপ সৃষ্টি হয়ে আছে। পঁচাগলা ময়লা-আবর্জনা জমে অকার্যকর হয়ে পড়ে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ড্রেনগুলো এখন মশা উৎপাদনের খামারে পরিনত হয়েছে। দিন-রাত সার্বক্ষণিক সেখান থেকে পঁচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে এলাকার পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। পাশাপাশি উপদ্রব ভয়ানক হারে বেড়ে যাওয়ায় মশার কাঁমড়ে রাতে ঘুমাতে পারছেন না এলাকার মানুষ। শহরবাসীকে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে কিছু দিন আগে ওষুধ ছিটানো হলেও মশা নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এতে মশাবাহিত নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন পৌরবাসী।

পৌরসভার নাগরিকরা জানান, সম্প্রতি মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নাগরিক জীবন। বাসা-বাড়ি, শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিসসহ সর্বত্র মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না কেউই। মশার কয়েল, স্প্রে সবকিছুই মশার কাছে হার মানছে।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরসভায় ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য প্রয়োজনীয় পরিচ্ছন্নকর্মী থাকলেও কতিপয় নাগরিক ও ব্যবসায়ী নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র ময়লা আবর্জন ফেলে পরিবেশ দূষণ করে করছে। এতে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া শীত মৌসুমে মশার উপদ্রব কিছুটা কম থাকলেও গ্রীষ্মকালের শুরুতেই ব্যাপকহারে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই বাসা-বাড়িতে মশা প্রবেশ করে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলছে। মশা নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে পৌর কর্তৃপক্ষ নালা-নর্দমাগুলোতে মশক নিধন স্প্রে ছিটানো কার্যক্রম শুরু করলেও মশা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বাড়ি-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিসে ইলেকট্রিক ব্যাট, অ্যারোসল, কয়েল জ্বালিয়েও মশার অত্যাচার থেকে যেন পৌরবাসী রক্ষা পাচ্ছে না।

পৌরশহরের মুদি দোকানী সাজু মিয়া জানান, মশার অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ। ঘরোয়াভাবে মশা নিধন করা যাচ্ছে না। এতে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি রয়েছে। তিনি জানান, মশার উপদ্রব থেকে রক্ষায় দুপুরের পর থেকে বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। তাতেও মশার অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন, মশার কামড়ে মানুষের মাঝে নানা রোগ ছড়ায়। তাই এলাকায় নিয়মিত মশকনিধন কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা খুব জরুরি।

অন্যদিকে পৌর কর্তৃপক্ষ শহরবাসীকে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে বেশ কয়েক দফায় মশক নিধন স্প্রে ছিটানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন। মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে নাগরিকদের সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন পৌর দায়িত্বশীলরা। কর্তৃপক্ষ বলছেন, যততত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে না রেখে তা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে ব্যবসায়ী ও পৌরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান।

বিয়ানীবাজারে মার্কেটে মার্কেটে ক্রেতা সমাগম- খুশি বিক্রেতারা