বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম হাতলিয়া এলাকার ৪ স্থানে বন্যার পানি উঠার কারণে সড়কের বিভিন্নস্থানে বড় ও গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়ক পানিতে নিমজ্জিত থাকার অজুহাতে প্রায় দেড়মাস ধরে গর্ত ভরাটের কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে যাত্রীরা মারাত্মক ঝুকি নিয়ে চলাচল করেন। সম্প্রতি স্থানীয়রা জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সড়কের ডুবে যাওয়া অংশ পারাপারের জন্য সড়কের পাশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দিয়েছেন।

জানা গেছে, গত দেড়মাস থেকে কুলাউড়া-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম হাতলিয়ার ৪ স্থানসহ সড়কের ১০ স্থান তিন-চার ফুট পানিতে তলিয়ে রয়েছে। প্রায় দেড়মাস ধরে বন্যার পানি থাকায় সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে না। ঝুঁকি নিয়ে কিছু যানবাহন চলাচল করলেও যাত্রীদের স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে। এসব কারণে সম্প্রতি স্থানীয়রা সড়কের পাশের বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বন্যার পানি দ্রুত নামতে না পেরে বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম হাতলিয়ার চার স্থান পানিতে তলিয়ে রয়েছে। অনেকেই ডুবে যাওয়া অংশ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছেন। এছাড়া ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলারসহ কিছু যানবাহন চলাচল করছে। অনেক যানবাহন পানি আর বড় বড় গর্তের মধ্যে সড়কে চলতে গিয়ে বিকল হচ্ছে। এ সময় যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে দেখা যায়। স্থানীয় কলেজ ছাত্র ফাহিম আহমদ জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচলা স্বাভাবিক হচ্ছে না। ডুবে যাওয়া অংশ পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়াও দিতে হচ্ছে। এজন্য জনদুর্ভোগ লাঘবে এলাকার কয়েকজন সড়কের পাশে বাঁশের সাকোঁটি তৈরী করে দিয়েছেন।