বড়লেখায় রিলিফের চাল বিতরণে অনিয়ম করায় দুই ইউপি মেম্বারকে পকেটের টাকায় ২ বস্তা চাল খেসারত দিতে হয়েছে। বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে নির্ধারিত তালিকার দু:স্থদের নাম  কেটে উপস্থিত অতিরিক্ত লোকজনকে চাল দিতে গিয়ে তারা এ খেসারত দেন।

সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মকবুল হোসেন সেবুল ৬০ জন দু:স্থ লোকজনের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণের জন্য জিআর (সরকারি রিলিফ) ১২ বস্তা চাল বরাদ্দ পান। বুধবার সকালে ৫০ জনকে নির্ধারিত মাপে চাল বিতরণ শেষে অতিরিক্ত লোকজন ভীড় করায় তালিকাভুক্ত ১০ জনসহ উপস্থিত ২০ জনকে ৫ কেজি করে চাল বিতরণ করেন। অনুরূপভাবে ৫নং ওয়ার্ড  মেম্বার ফরমান আলী ওয়ার্ডের তালিকাভুক্ত কয়েকজন দু:স্থকে ২ কেজি করে কম দিয়ে উপস্থিত দু:স্থদের মধ্যে বণ্টন করে দেন। এ অনিয়মের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ঘটনার সত্যতা পেয়ে কম পাওয়া দু:স্থদের ডেকে এনে মেম্বার দু’জনের নিজ পকেটের টাকায় তাৎক্ষণিক চাল বণ্টনের জন্য নির্দেশ দেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) সমীর বিশ্বাস, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজাদের রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান নছিব আলীসহ মিডিয়াকর্মীদের সামনে দুই মেম্বার কম পাওয়া ব্যক্তিদের ইউপি কমপ্লেক্সে ডেকে নিয়ে চাল বিতরণ করেন।

ইউপি মেম্বার মকবুল হোসেন সেবুল ও ফরমান আলী জানান, তালিকাবহির্ভূত কিছু দুর্গত মানুষ জড়ো হওয়ায় সবাইকে দিতে গিয়ে কিছু লোক একটু কম চাল পেয়েছে। এটা অনিয়ম জানতেন না। তবে ইউএনও স্যারের কথায় পকেটের টাকায় বাজার থেকে চাল কিনে নিয়ে কম পাওয়া লোকজনের মধ্যে বণ্টন করে দিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ কর্মসূচির ত্রাণের চাল ১০ কেজির নিচে দেয়ার কোনো নিয়ম নাই। ভবিষ্যতে এ ধরণের কোনো অনিয়ম হবে না-মর্মে দুই মেম্বার মুচলেকা দিয়েছেন এবং কম পাওয়া লোকজনকে অবশিষ্ট চাল দিয়েছেন।