মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় ৮ ঘন্টা সাঁড়াশি অভিযান শেষে জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর চা বাগান এলাকায় অপহৃত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শাহরিয়া আসিফ (২০)কে উদ্ধার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। একই সাথে ৪ অপহরণকারীকেও গ্রেপ্তার করেছে তারা।

আটক চার অপহরণকারী হলো- গোয়াইনঘাট উপজেলার ছৈলাখৈল গ্রামের গুপেস সরকারের ছেলে সালসান (২০), বড়লেখা উপজেলার সোজাউল গ্রামের মৃত আজির উদ্দিনের দুই ছেলে মো. শামীম মিয়া (৪০) ও মো. জাকির হোসেন (২৯) এবং একই উপজেলার চান্দরগুল গ্রামের রহমত উল্লাহর ছেলে মো. আব্দুল করিম।

শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) লে. কর্নেল আবু মুসা মো. শরীফুল ইসলাম পিএসসি, এএসসি’র নেতৃত্বে উপ অধিনায়ক মেজর মো. শওকাতুল মোনায়েম, সিনিয়র এএসপি নাহিদ হাসান এবং মিডিয়া অফিসার এএসপি ওবাইনসহ র‍্যাব-৯ সদর কোম্পানির একটি দল অভিযান চালিয়ে বড়লেখা উপজেলার বোবারতল পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। একই সাথে ভিকটিমকেও সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে তারা।

র‍্যাব-৯ জানায়- গত ০৯ সেপ্টেম্বর লিডিং ইউনিভার্সিটির ২য় বর্ষের ছাত্র শাহরিয়া আসিফ (২০) জৈন্তাপুর থানার শ্রীপুর চাবাগান এলাকায় বেড়াতে গেলে বেশ কজন অপহরণকারী তাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং ভিকটিমের পিতা গোয়াইনঘাটের ছৈলাখেল গ্রামের মো. সরোয়ার হোসেন ছেদু (৫০) এর কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর প্রেক্ষিতে অপহৃত আসিফের সরোয়ার হোসেন ছেদু জৈন্তাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে।

এর এক পর্যায়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব নিশ্চিত হয় যে সংঘবদ্ধ অপহরণকারীরা বড়লেখা উপজেলার বোবারতল পাহাড়ী এলাকায় ভিকটিম শাহরিয়ার আসিফকে নিয়ে অবস্থান করছে এবং ওখান থেকেই ভিকটিমের পিতার কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা দাবি করছে।

এরপর র‍্যাব-৯ এর কর্মকর্তারা অপহরণকারীদের ধরতে মুক্তিপণ দেওয়ার ফাঁদ পাতে কিন্তু অপহরণকারীরা ধরা না দিয়ে পাহাড়ী এলাকায় ভিকটিমকে নিয়ে একের পর এক স্থান পাল্টাতে থাকে। পরে ১১ সেপ্টেম্বর ভোর ৫ টায় র‌্যাব সাড়াঁশি অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে এবং বড়লেখার বোবারতল পাহাড়ী এলাকায় ৮ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করে ৪ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে।

এ ব্যাপারে র‍্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি ওবাইন জানান- গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা পেশাগত অপহরণকারী বলে স্বীকার করে। তাদের সাথে আরো বেশ কজন জড়িত আছে বলেও জানায় তারা। র‍্যাব-৯ তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধারপূর্বক তার পিতার জিম্মায় প্রদান করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জৈন্তাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এএসপি ওবাইন।

বিয়ানীবাজার থেকে অপহরণ করে পালানোর সময় ৫ অপহরণকারি আটক, গাড়ি জব্দ