বড়লেখায় বন্য বানরের ব্যাপক উপদ্রব দেখা দিয়েছে। দিনে-দুপুরে আক্রমণের শিকার হচ্ছেন নিরীহ মানুষজন। এ পর্যন্ত বানরের আক্রমণে আহত হয়েছেন পুলিশ কনস্টেবলসহ ৭ জন। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা জুলহাস আহমদ জানান, বন্য বানর তাড়ানোর প্রয়োজনীয় সরকারি সাপোর্ট তাদের সরবরাহ করা হয়নি।

শাহবাজপুরের সমাজসেবক রফিক উদ্দিন আহমদ জানান, আগে ১টি বানর দেখা যেত, তেমন উৎপাত করত না। কিন্তু এখন একে একে ৬টি বানরের আবির্ভাব ঘটেছে। দিনে-দুপুরে পথচারীদের আক্রমণ করে বসছে। ঘরে ঢুকে খাবার নিয়ে যাচ্ছে। জিনিসপত্র নষ্ট করছে। বানরের এরকম মারমুখী চালচলনে মানুষ আতঙ্কিত।

জানা গেছে, রোববার ভোরে মসজিদ থেকে ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে শাহবাজপুর বাজার সংলগ্ন রাজপুর এলাকায় বানরের আক্রমণের শিকার হয়ে মারাত্মক আহত হন সায়পুর গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ (৩০)। পরে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

কিছুদিন আগে বানরের উৎপাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী একটি বানরকে কৌশলে ধরে সীমান্তবর্তী পাল্লাথল বাগান এলাকার জংগলে ছেড়ে দিয়ে আসে। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই বানরটি পুনরায় লোকালয়ে ফিরে আসে।

শাহবাজপুর বাজারের ব্যবসায়ী জামাল আহমদ জানান, ভোরে হাঁটাহাঁটি করা দীর্ঘদিনের অভ্যাস কিন্তু বানর আতঙ্কে এখন আর বের হই না। কয়েকদিন আগে ভোরে একজনকে আক্রমণ করে রক্তাক্ত করেছে।

সায়পুর মডেল কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক আহমেদ রুয়েল জানান, বানর বন্যপ্রাণী। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের উচিত জনস্বার্থে দ্রুত বন্য বানরগুলোকে লোকালয় থেকে বনে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ জুবায়ের লিটন জানান, বানরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় লোকজন প্রায়ই তার কাছে আসছেন। বিষয়টি তিনি বন বিভাগকে অবহিত করেছেন। আশা করছেন তারা দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

বড়লেখা বন বিভাগের সহযোগী রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস জানান, বন্য বানরের উপদ্রবের খবর পেয়েই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তিনি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা জুলহাস আহমদকে জানিয়েছেন।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জ কর্মকর্তা জুলহাস আহমদ জানান, যে কোনো বন্যপ্রাণী ও বন্য বানর তাড়ানোর প্রয়োজনীয় সরকারি সাপোর্ট তাদের সরবরাহ করা হয়নি। এরপরও তিনি এলাকায় যাবেন।

তথ্যসূত্র- যুগান্তর।