বড়লেখায় এক গৃহবধূকে কুপিয়ে জখম করেছেন তার স্বজনরা। গত ২৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার দক্ষিণ তালিমপুর ইউনিয়নের আহমদপুরে এই ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ নির্যাতন মামলার আসামীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় জনমনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

ঘটনার জখমী গৃহবধূ দৈবকী রানী বিশ্বাসের বাবা অবনী বিশ্বাস ১১ জন আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। (মামলা নং ১৭ তাং ২৫/০৯/১৭) দায়েরকৃত এ মামলায় আসমীরা হলেন উপজেলার আহমদপুর গ্রামের জগেশ বিশ্বাসের ছেলে নিখিল বিশ্বাস, অন্ত বিশ্বাস, নিখিল বিশ্বাসের ছেলে দিপুল বিশ্বাস, দেবেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে সুশই বিশ্বাস, সুশীল বিশ্বাস, নিখিল বিশ্বাসের স্ত্রী অর্পনা বিশ্বাস, জ্যোতিন্দ্র বিশ্বাসের মেয়ে শূলতা বিশ্বাস,দেবন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে মলিন্দ্র বিশ্বাস,ফুলিন্দ্র বিশ্বাস, অর কুমার বিশ্বাসের ছেলে বিধান বিশ্বাস, বিরেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে বিভাস বিশ্বাস।

তাদের মধ্যে প্রধান আসামী নিখিল বিশ্বাস, দিপুল বিশ্বাস ও অন্ত বিশ্বাস পলাতক, সুশীল বিশ্বাস জেলহাজতে এবং বাকিরা আদালতের মাধ্যমে জামিনে রয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জায়গা জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার জখমী দৈবকী রানী বিশ্বাসের ভাসুর, দেবর, ননদ ও জ্যাঁ পরিকল্পিত ভাবে তার উপর হামলা করে। এসময় তারা বিভিন্ন দেশীয় অংশ দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক আহত করে পরে দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তাকে জখম করে।

মামালার এজাহারে জখমীর বাবা বাদী অবনী বিশ্বাস অভিযোগ করেন, হত্যায় উদ্দেশ্যে তার মেয়ের উপর হামলা করে বিবাদীরা ঘরে থাকা নগদ ৮০ হাজার টাকা এবং ১২ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে আসে।
এসময় স্থানীয়রা থাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে
বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন।বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। তবে তার অবস্থা এখনও আশংকাজনক বলে জানিয়েছন চিকিৎসকরা।তার ডান চোখ নষ্ট হওয়ার শংকা করছেন তারা।এখনও পর্যন্ত নাকও মুখ দিয়ে অনবরত রক্ত নির্গত হচ্ছে বলে জানান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বড়লেখা থানার পু্লিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দেবদুলাল ধর বলেন, অভিযুক্ত একাধিক আসমীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল আসামীদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।