বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন আলম (৩৮) হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি কাজল মিয়ার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করা হয়।

এদিকে মামলার অপর দুই আসামি ইয়াছিন আলী (৫৫) ও মাসুক উদ্দিনকে (৫০) অভিযোগ গঠনকালে অব্যাহতি দেন আদালত। গত সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর)  সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট মোতাহীর আলী ও এডভোকেট খন্দকার সাইফুর রহমান রানা।

সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের আরেক সদস্য মাসুক আহমদকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে আলীমপুর গ্রামে একটি জানাযার নামাজে অংশগ্রহণের জন্য যাচ্ছিলেন। লাতু বিজিবি ক্যাম্পের কাছে পৌঁছলে আগে থেকেই ওঁৎপেতে থাকা কাজল মিয়া চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসা আবুল হোসেন আলমের বাম হাতে কুপ দিয়ে মোটর সাইকেলসহ তাকে রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে রামদা দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে দ্রুত বৈরাগী টিলার দিকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আলমকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আবুল হোসেন আলম সায়পুর গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র। আলমের মৃত্যু সংবাদ শুনে উত্তেজিত জনতা সায়পুর গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে কাজল মিয়ার বাড়ি ও বাড়ির সামনে দোকানঘর অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় নিহত আলমের বাবা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে কাজল মিয়াকে প্রধান এবং আরো কয়েক জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বড়লেখা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ধ্রুবেশ চক্রবর্তী তদন্তকার্যক্রম শেষে গত ২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত কাজল মিয়া ও তদন্তে প্রাপ্ত মাসুক উদ্দিন ও ইয়াছিল আলীর বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় আনিত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্র নম্বর-৩২।

এদিকে দ্রুত বিচারের লক্ষে মামলাটি মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হলে বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযুক্ত মাসুক উদ্দিন ও ইয়াছিন আলীকে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল অব্যাহতি দেন। মামলার একমাত্র আসামি কাজল মিয়া বর্তমানে জামিনে আছেন।