মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে বৃহস্পতিবার নিয়ম বহির্ভূতভাবে দ্যা ক্যাপিটাল চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক পরিচয়ে চক্ষু রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন ৩ ব্যক্তি।

বৈধ কাগজপত্র না থাকায় স্বাস্থ্য ক্যাম্প চালানোর যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করায় ইউএনও’র নির্দেশে দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শুভ্রাংশু দে চক্ষু ক্যাম্পটি বন্ধ করে দেন।

বুধবার উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নে প্রচারণা চালিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে তারা চক্ষু রোগী দেখা শুরু করে। ২৬ জন রোগীকে ব্যবস্থাপত্র, চশমা ও ওষুধ দেওয়ার পর প্রশাসনের নির্দেশে আয়োজকরা চক্ষু ক্যাম্পটি বন্ধ করেন। পরে মুচলেকায় তাদের ৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, মো. ফোরকান, অনুপ কুমার ও স্যাকমো মিয়া মো. রায়হান নিজেদের ঢাকার দি ক্যাপিটাল চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক পরিচয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে বড়লেখা, জুড়ী ও কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চক্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য ক্যাম্প খুলে চক্ষু রোগী দেখছে। ৩০ টাকা ফি’র আড়ালে চড়া দামে চশমা ও ঔধষ বিক্রি এবং কন্টাক্টের মাধ্যমে চোখের ছানি পড়া রোগীদের অপারেশনের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই ছিল তাদের মূল টার্গেট।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শুভ্রাংশু দে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও ইউএনও’কে চক্ষু শিবিরের ব্যাপারে আয়োজকরা কিছুই জানায়নি। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ইউএনও মো. শামীম আল ইমরানের নির্দেশে তিনি নিয়ম বহির্ভূত এ চক্ষু ক্যাম্পটি বন্ধ করে দেন। বড়লেখায় ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনও অবৈধ কার্যক্রম করবে না মর্মে মুচলেকা দেওয়ায় আয়োজকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডা. মো. তৌহিদুর রহমান জানান, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) কোন চক্ষু ক্যাম্প করতে পারেন না। এছাড়া এলাকায় যেকোনো স্বাস্থ্য ক্যাম্প চালাতে হলে স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করতে হয়।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাব নির্বাচন : সভাপতি সজীব, সম্পাদক মিলাদ নির্বাচিত