বড়লেখায় কাকলী রানী দাস (১৭) নামে এক কলেজছাত্রী অপহরণের ২৫দিনেও পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। উল্টো পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ উদ্দিন অপহরণকারী ফাহিম আহমদের সঙ্গে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কলেজছাত্রীর বিয়ের ব্যাপারে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

নিখোঁজ কাকলী উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের ঘোলষা গ্রামের মিকন দাসের মেয়ে এবং বড়লেখা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

অপহৃতা কলেজ ছাত্রীর পিতা জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর তার মেয়ে বাড়ি থেকে কলেজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের বাবনের চক গ্রামের নুনু মিয়ার পুত্র ফাহিম আহমদ তার মেয়েকে অপহরণ করেছে। মেয়ে উদ্ধারের কাকুতি জানিয়ে তিনি থানায় জিডি (জিডি নং-৬৪/১৮) ও করেন। জিডিটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানার ওসি ইয়াছিনুল হক এসআই শরীফ উদ্দিনকে দায়িত্ব দেন।

তিনি অভিযোগ করেন, এ খবরটি দারোগা শরীফ উদ্দিনকে জানালে তিনি ফাহিমের বাড়িতে কয়েকবার লোক দেখানো অভিযান চালান। বাড়িতে গিয়ে অপহরণকারীসহ মেয়েকে পেয়েও তিনি গ্রেফতার ও উদ্ধার করেননি। আমার মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া স্বত্ত্বেও জোরপূর্বক এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করার কাজে তিনি সহযোগিতা করেন। আমার নাবালিকা মেয়ে ও অপহরণকারীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেওয়ার পর বিভিন্ন মহলের চাপে ঘটনার ২৩ দিন পর দারোগা শরীফ উদ্দিন অপহারকের মা ও ছোটবোনকে আটক করলেও পরে তাদের ছেড়ে দেন।

অপহরণকারীর সঙ্গে কলেজছাত্রীর বিয়ের ব্যাপারে সহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করে বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ উদ্দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টায় জানান, জিডি পেয়ে তিনি ভিকটিমকে উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান। কিন্তু সন্ধান পাননি। অপহরণকারীর মা ও ছোটবোনকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অপহৃতা কলেজছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী ফাহিমকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়াছিনুল হক জানান, অপহরণকারীর মা ও ছোটবোনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অপহৃতা কলেজছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী ফাহিমকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।