অভিবাসন ইস্যু নিয়ে অনুসন্ধানী ও বস্তুুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার স্বীকৃতি হিসেবে ব্র্যাক মাইগ্রেশান মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন দৈনিক জালালাবাদের রিপোর্টার এটিএম তুরাব।

২০১৯ সালের জুন মাসে “স্বপ্নের দেশে ছুটতে গিয়ে জীবন নাশের গল্প শোনালেন ভাগ্যগুণে বেঁচে যাওয়া তিন যুবক” শিরোনামে জালালাবাদে প্রচারিত সংবাদ ছাড়াও একই বছর “স্বপ্নের দেশ ইতালীতে পাড়ি দিতে সাগরে প্রাণ দিতে হচ্ছে
সিলেটি তরুণদের” শিরোনামে আরো একটি সংবাদ প্রকশিত হয়। এতে সমুদ্রপথে পাচার হওয়া মানুষ ও তাদের পরিবারের দুর্দশা, দূর্ভোগ এবং পাচারকারীদের বিচারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অনুসন্ধানী ও বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদনের জন্য তাকে এই এ্যওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।

ব্র্যাক-এর মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি সাংবাদিকদের এই পুরস্কার তুলে দেন।

প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এই তিন বিভাগে সেরা ১৩ জন সাংবাদিককে পুরস্কার দেওয়া হয়। এতে স্থানীয় পর্যায়ে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে দৈনিক জালালাবাদ।

সাংবাদিকদের পাওয়া প্রতিবেদনগুলো প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকতার শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি জুরিবোর্ড মূল্যায়ন করে। এ বছর জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জনাব শেখ মোহাম্মদ রেফাত আলী, রাহনুমা সালাম খান এবং নিউজ২৪ টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নি।

এ বছর সংবাদপত্র (আঞ্চলিক) ক্যাটাগরিতে বিজয়ীরা হলেন, সিলেটের দৈনিক জালালাবাদের এ টি এম তুরাব (প্রথম), দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের ফারুক মুনির (দ্বিতীয়) এবং দৈনিক ফেনীর সময়ের মোঃ এমদাদ উল্লাহ। সংবাদপত্র জাতীয় বিভাগে ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজ এর ওয়াসিম উদ্দিন ভূঁইয়া প্রথম স্থান অধিকার করেন। দৈনিক প্রথম আলোর মোঃ মহিউদ্দিন দ্বিতীয় এবং দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের আরাফাত আরা তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। টেলিভিশন বিভাগে ডিবিসি টেলিভিশনের সাবিনা ইয়াসমিন (সাবিনা পুঁথি) প্রথম স্থান অধিকার করেন। যমুনা টিভির সালাউদ্দিন আহমেদ (আহমেদ রেজা) দ্বিতীয় এবং নিউজ২৪ টিভির আশিকুর রহমান (শ্রাবন) তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। রেডিও বিভাগে একমাত্র বিজয়ী বাংলাদেশ বেতারের মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেন, অভিবাসনখাতের উন্নয়নে ব্র্যাক যে কাজ করছে তা প্রশংসনীয়। অভিবাসন বিষয়ে যারা সাংবাদিকতা করেন তাদের পুরষ্কার দেওয়া একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন। আর সাংবাদিকদের মাধ্যমেই আমরা তথ্য পাই। তারাও এই খাতকে সমৃদ্ধ করেছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের কো-অপারেশন হেড মাউরিজিও চিয়ান, আইওএম বাংলাদেশের চিফ অফ মিশন গিওরগি গিগাওরি, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শেখ মোহাম্মদ রেফাত আলী, শেখ মোহাম্মদ রাফায়াত, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, সিনিয়র ডিরেক্টর, কেএএম মোর্শদ, ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল ইসলাম হাসান।

বিয়ানীবাজারের মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রামে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া