ইউলশায়োরের সেলিসবারি মুসলিম এ্যাসোসিয়েশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে উইলশায়ার কান্টি কাউন্সিল মুসলিমদের স্থায়ী একটি কবরস্থানের ব্যবস্থা করে দিল। ওই এলাকায় মুসলিম জনসংখ্যা মাত্র কয়েকশত হলেও মুসমানদের স্থায়ী কোন গোরস্থায় না থাকায় ওই কাউন্সিলের একমাত্র বাঙ্গালী কাউন্সিলার আতিকুল হক ও সেলিসবারী মুসলিম এ্যাসোসিয়েশন মুসলমানদের দাপন কাপনের জন্যে একটি গোরস্থানের দাবী জানিয়ে আসছিলেন, স্থানীয় মুসলিমদের দাবীর প্রেক্ষিতে ১০ অক্টোবর বৃহস্প্রতিবার সকালে মুসলিম গোরস্থানের আনুষ্টানিক উদ্বোধন করেন উইলশায়ারের মেয়র জনস ওয়ালস।

উদ্বোধনী অনুষ্টানে মেয়র জনস ওয়ালস বলেন- যদিও সেলিসবারী এলাকায় মুসলমানদের সংখ্যা খুবই কম , তার পরেও কাউন্সিল বিষয়টি মানবিক কারনে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেছে। গ্রেট বৃটেন সাম্প্রদাযিক সম্পৃতির দেশ আমরা চাই এখানকার মানুষ সকলে সমান অধিকার ভোগ করুক। এসময় মেয়র বলেন গোরস্থানের সাথে মুসল্লিদের অজুরও ব্যবস্থা করেছে কাউন্সিল। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সেমিট্রি ম্যানেজার নেইল লোকাস এবং কাউন্সিলার আতিকুল হক।

এসময় কাউন্সিলার আতিকুল হক বলেন- এ মহৎ কাজটি করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।

সেলিসবারি মুসলিম এ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে উদ্বোধনী অনুষ্টানে আরো উপস্থিত ছিলেন এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রশিদ উল্লাহ, সেক্রেটারী জেনারেল খলিল উল্লাহ, জয়েন্ট সেক্রেটারী সালমান ফারসি, ভাইস চেয়ারম্যান আলি মানিক এবং স্থানীয় মুসলিম কমউনিটির পক্ষ থেকে প্রবীন মুরব্বী নাছির আলী, হাজি হাবিবুর রহমান, কবরস্থানটি সেলিসবারি জিভাইজেজ রোডে এভিনউ সেমি্ট্রি হিসেবে পরিচিত। এই সেমিট্রিতে এখন খৃষ্টানদের পাশিাপশি মুসলমানদের ১৪০টি কবরের ব্যবস্থা হবে।

উদ্ভোধনী অনুষ্টানে আরো উপস্থিত ছিলেন, শাহিন মিয়া, একলিম চৌধুরী, একরামুল হক, সেলিসবারি সেন্ট্রেল মসজিদের ঈমাম মৌলানা আশরাফুর রহমান, ও মৌলানা খালিদ নোমানী। শোকরানা মোনাজত করেন মৌলানা আশরাফুর রহমান।

তথ্যসূত্র- সুরমানিউজ।