ভারত থেকে পাথরের সঙ্গে আসা বিস্ফোরকভর্তি ‘খেলনাসদৃশ’ বস্তু বিস্ফোরিত হয়ে সিলেটের গোয়াইনঘাটে ১০ বছরের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার মোহম্মদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জুয়েল মিয়া ওই গ্রামের ময়না মিয়ার ছেলে। ‘খেলনাসদৃশ’ ওই বস্তুতে ব্যাটারি লাগাতে যুক্ত করার চেষ্টা করছিলো সে। এসময়ই ঘটে দুর্ঘটনা।

পুলিশ ও জুয়েলের পারিবারিক সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে পাথর ভাঙার কাজ করতে গিয়ে তার জড়ানো ‘খেলনাসদৃশ’ ওই বস্তু পেয়েছিলেন জ্যোৎস্না বেগম। ছেলে খেলবে, এই ভেবে বাড়িতে নিয়ে আসেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খেলতে খেলতে তারে জড়ানো সেই বস্তুটিতে মুঠোফোনের ব্যাটারি যুক্ত কররা চেষ্টা করে জ্যোৎস্না জুয়েল। এ সময় সেটি বিস্ফোরিত হয়ে জুয়েলের মৃত্যু হয়।

গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম জানান, গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে ভারত থেকে আমদানি করা আনা পাথর ভাঙার কাজ করেন ময়না মিয়া ও তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না। সম্প্রতি কাজ করতে গিয়ে কুড়িয়ে পাওয়া খেলনাসদৃশ বস্তু বাড়িতে নিয়ে ছেলেকে খেলতে দেন জ্যোৎস্না। ওই বস্তুতে তার জড়ানো ছিল। ময়না মিয়ার ছেলে জুয়েল ওই তারে মুঠোফোনের একটি ব্যাটারি সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছিল। এসময় হঠাৎই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে জুয়েলের মুখ গভীরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এ সময় বাবা–মাসহ পরিবারের সদস্যরা এসে জুয়েলকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে তাকতে দেখেন। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পাথরশ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে ওসি নজরুল আরও বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা পাথরের সঙ্গে প্রায়ই বিস্ফোরকজাতীয় বস্তু চলে আসে। যেগুলো পাথর ভাঙার কাজে ব্যবহৃত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এমন বিস্ফোরক শিশুটির হাতে বিস্ফোরিত হয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে।

শিশু জুয়েলের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি কে এম নজরুল ইসলাম।

‌ সাপ্তাহিক বাজার দর ।। পর্ব #১৫৪- নিত্যপণ্যের দাম উধ্র্বমূখী, কমেছে ব্রয়লার ও সবজির দাম