পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ ফিকে হয়ে হেছে বিয়ানীবাজারের বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দারের। টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তলিয়ে গেছে উপজেলার তিন ইউনিয়ন ও পৌরসভার অনেক বাড়িঘর। পানিতে বসতঘর তলিয়ে গেলেও এসব পরিবারের সদস্যরা যাননি কোন আশ্রয় কেন্দ্রে।

কুশিয়ারা নদীর ডাইক (রক্ষাবাঁধ) ভেঙ্গে সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের বেশ কয়েক জায়গা তলিয়ে গেছে। সড়কের উপর দিয়ে তীব্র স্রোতে প্রবাহিত হচ্ছে নদীর পানি। এতে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহান চলাচল করছে। এ সড়কের আঙ্গারজুর ও মেওয়া অংশসহ বেশ কয়েকটি অংশে তলি গেছে। সড়ক ও বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে কুশিয়ারা নদী বেষ্টিত উপজেলার দুবাগ, শেওলা, কুড়ারবাজার ও পৌরসভার শ্রীধরা এলাকা। এসব এলাকার অধিকাংশ বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। মানুজন ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন।

কুশিয়ারা নদীর অমলসীদে পয়েন্টে বিপদসীমার ৯০ সেন্টিমিটার এবং শেওলা পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা কবলিত হওয়ার শংকার মধ্যে রয়েছে মুড়িয়া, মোল্লাপুর, তিলপাড়া ও মাথিউরা ইউনিয়ন।

কুড়ারবাজার ইউনিয়নের দেউলগ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, এলাকার বেশ কিছু বাড়িঘর বন্যা পানিতে ডুবে গেছে। একই অবস্থা পাশ্র্ববর্তী গোলাপগঞ্জ উপজেলার বুধবারীবাজার ইউনিয়নের।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান বলেন, বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কের বেশ কিছু এলাকা তলিয়ে গেছে। উপজেলা প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। বন্যা কবলিত এলাকার চেয়ারম্যানদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।