বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল লতিফের ১৭তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ (শুক্রবার)। ২০০৩ সনের ১৮ সেপ্টেম্বর এই নিভৃতচারী নেতা সৃষ্টিকর্তার ডাকে সাড়া দিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। তিনি বিয়ানীবাজারবাসীর কতটা আপনজন ছিলেন তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিলো তাঁর জানাজার নামাজে অংশ নেয়া শোকার্ত মানুষের বিশাল সমাবেশে।

বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ আবুল লতিফের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজমুল হোসেন পুতুল ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিক আহমদ তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করেন।

এক বিবৃতিতে তাঁর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, মরহুম মোঃ আব্দুল লতিফ বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক থেকে পরবর্তীতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি একজন দৃঢ়চেতা, আদর্শনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ হিসেবে উপজেলা বিএনপি পরিবার তথা সব শ্রেণীপেশার মানুষের মনে শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠ থাকবেন। দৃঢ়তা, অটুট মনোবল এবং ব্যক্তিত্বে তিনি ছিলেন অনন্য উচ্চতায়- একজন ব্যতিক্রমী রাজনীতিবিদ।

বিবৃতিতে তারা দুজন আরও বলেন, তাঁর নেতৃত্বে ১৯৯২ সালে বিয়ানীবাজার পিএইচজি হাইস্কুল মাঠে বিশাল জনসভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আগমন ঘটে। তিনি তখন এই বিশাল জনসভার সভাপতিত্ব করেন এবং এই জনসভা থেকেই কুশিয়ারা নদীর ওপর শেওলা পয়েন্টে ব্রিজ করার দাবি তুলা হয়েছিলো। আজকের দুবাগের শেওলা ব্রিজ বাস্তবায়নে তিনি ছিলেন অন্যতম সহযোগী। তখন তিনি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি। তিনি সভাপতি থাকাকালীন সময়ে ব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি অনুমোদিত হয়। বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনকে পুর্ণগঠন থেকে শুরু করে গণতন্ত্র ও জনগণের মুক্তির সকল সংগ্রামে তিনি রেখেছেন অসামান্য অবদান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দর্শনকে বুকে ধারণ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচারের কবল থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে মোঃ আব্দুল লতিফের অবদান জাতীয়তাবাদী ও গণতান্ত্রিক শক্তি এবং বিয়ানীবাজার উপজেলাবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বিয়ানীবাজারে দু’শত কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে শাক ও সবজির বীজ বিতরণ