বিয়ানীবাজার পৌরসভায় ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন হচ্ছে না সেটি এরই মধ্যে ভোটার থেকে প্রার্থী সবাই জেনে গেছেন। ইভিএমে ভোট দেয়া কেমন হবে এ নিয়ে অনেকেই শংকা প্রকাশ করেছেন- তাদের বেশিভািই বয়স্ক এবং সরকারি দল বিরোধী।

শংকিত ভোটারের চেয়ে উৎসাহি ভোটারের সংখ্যাও কম নয়। ইভিএমে ভোট প্রদানের কথা শোনেছেন। প্রবাসে থাকা স্বজনদের কাছে মেশিনে ভোট প্রদানের গল্প শোনা তরুণরা পৌর নির্বাচনে ইভিএমে ভোট দিতে পারবেন জেনে পুলকিত। দারুণ হবে বলে মন্তব্য করেন ৯নং ওয়ার্ডের হাসান আহমদ। কলেজ পড়ুয়া এ তরুণ বলেন, ইভিএমে ভোট গ্রহণ নিয়ে এতো সমালোচনা থাকায় আমার আকর্ষণ বেড়েছে। একই সাথে নতুন একটি মাধ্যমের সাথে পরিচিত হওয়ার বিষয়টি ভাবতে গিয়ে শিহরীত হচ্ছি। তার মতো তরুণ ফাইম আহমদ, আব্দুল জব্বাররা ইভিএমে ভোট দেয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।

মুদ্রা উল্টো পিঠে শংকিত থাকা ভোটারদের অবস্থা ঠিক বিপরীত। এতো দিন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন, এবার মেশিনের ভোট, কিভাবে দেবেন, সবকিছু ঠিকটাক মতো হবে কিনা এরকম বেশ কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তি সরাফত আলী। ৭ নং ওয়ার্ডের ভোটার তিনি। তিনি বলেন, মেশিনে আঙ্গুলের চাপ না উঠলে ভোট দেয়া যাবে না। আমরা ভাল করে মোবাইল টিপপতে পারি না, ভোটের মেশিনে কেমনে ভোট দিব। সরাফত আলীর মতো বয়োবৃদ্ধদের কাছে ইভিএমে ভোট প্রদান জটিল একটি প্রক্রিয়া।

ইভিএমে ভোট মানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিঝয় নিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছরওয়ার হোসেন। তিনি বলেন, বিএনপি শুরু থেকে ইভিএমে ভোট গ্রহণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। কেন্দ্রের দায়িত্বশীলরা ইভিএমে ভোট প্রদানের বিষয়টি অস্বচ্ছ বলে বার বার অভিযোগ করেছেন। ইলেক্ট্রনিক্স এ ডিভাইজের প্রতি বিএনপি’র প্রশ্ন রয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিয়ানীবাজার পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে গত ইউপি নির্বাচনসহ জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি।