বিয়ানীবাজার নয়াগ্রাম-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা দেয়ালটি সড়কের দিকে হেলে রয়েছে। যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। বিদ্যালয়ের দায়িত্বশীলরা বাঁশের খুঁটি দিয়ে দেয়ালটি রক্ষার চেষ্টা করলেও দেয়ালটি ঝুঁকিমুক্ত হয়নি। ফলে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী শিক্ষার্থী ও পথচারীরা রয়েছেন ঝুঁকিতে।

স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের দেয়ালটি স্থানীয় অর্থায়নে তিন বছর পূর্বে নির্মাণ করা হয়। টিলার মাটির চাপে দেয়ালে ফাটল দেখা দেয় এবং কয়েক বছর থেকে সড়কের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। বর্তমানে দেয়ালটি বাঁশের খুঁটির ‘টেস’ দিয়ে রাখা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পৌরশহরের নয়াগ্রাম-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হেলে পড়া সীমানা দেয়ালটি বাঁশের খুঁটির সাথে আটকে রাখা হয়েছে। দেয়ালের পাশ দিয়ে চলাচল করছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় অধিবাসীরা বিকল্প কোন পথ না থাকায় এ পথ দিয়ে চলাচল করছেন। তারা জানান, দেয়ালটি পুর্ননির্মাণ করতে এলাকাবাসী বৈঠক করেছেন। পৌর মেয়রের কাছেও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত নয়াগ্রাম-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ ফুট দীর্ঘ সীমানা দেয়ালটি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা জওয়াদ আলী’র আর্থিক সহায়তায় নির্মাণ করা হয়। ২০১২ সালে সীমানা দেয়ালটি নির্মাণ করে দেন এ প্রবাসী। কিন্তু ২০১৩ সালে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের সময় দেয়াল ঘেঁষে মাটি ফেলায় দেয়ালটি সড়কের দিকে হেলে পড়ে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সজল পাল জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে। দেয়াল হেলে পড়ার বিষয়টি গত অক্টোবর মাসে বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়রকে জানিয়েছি। স্থানীয় অধিবাসীদের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকও করেছি। দেয়ালটি নতুন করে নির্মাণ করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শামছুদ্দিন জানান, স্থানীয় প্রবাসীদের পাশাপাশি পৌরসভার মেয়রের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। পৌর মেয়র স্থানীয় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, আপাতত ঝুঁকি এড়াতে বাঁশের খুঁটি লাগানো হয়েছে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাছুম মিয়া বলেন, দেয়াল নির্মাণ করার জন্য আলাদা কোন বরাদ্ধ নেই। তবে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ দেয়ালটি সরিয়ে না ফেলা উচিত। তিনি বলেন স্থানীয় অধিবাসীদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে, একই সাথে দেয়াল নির্মাণে পৌর মেয়রের সহযোগিতা চেয়েছি। আশা করি দেয়ালটি নতুন করে নির্মাণ করতে পারবো।

বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র আব্দুস শুকুর বলেন, বিদ্যালয়ের দেয়ালের কারণে শিক্ষার্থী ও পথচারীরা রয়েছেন ঝুঁকিতে। এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের দেয়াল নির্মাণ করার জন্য আমাদের কাছে আবেদন করেছেন। আমরা বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছি।