বিয়ানীবাজার পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের বিজয়ী কাউন্সিলরদের মধ্যে ৭জনই তারুণ্যে প্রতিনিধি। এ নির্বাচনে পৌরবাসী অপেক্ষকৃত তরুণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের উপর আস্থা রেখেছেন। প্রাক্তন কাউন্সিলরদের একজন পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। দুই দফায় বিয়ানীবাজার পৌরবাসী নির্বাচিত ৯জন কাউন্সিলর ও ৩জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পেয়েছেন।

বিজয়ী কাউন্সিলরদের মধ্যে ৪ জনের বয়স ত্রিশ এর মধ্যে। ১জন চল্লিশ ও ২জন পঞ্চাশ এর মধ্যে এবং অপর ২জন কাউন্সিলর পঞ্চাশ উর্ধ্ব।

১, ৪, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড থেকে বিজয়ী এমাদ উদ্দিন (২৬), আকছার হোসেন (২৯), কাইয়ুম আহমদ (৩০)ও আব্দুর রহমান আফজল (২৮)’র  বয়স ত্রিশের মধ্যে রয়েছে। ৭ নং ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত মিছবাহ উদ্দিন (৩৭) চল্লিশের মধ্যে, ২ ও ৫ নং ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত ছয়ফুল আলম ঝুনু (৪৮) এবং নাজিম উদ্দিন (৪৯) পঞ্চাশের মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া পঞ্চাশ উর্ধ্ব প্রাক্তন কাউন্সিলর ৬ নং ওয়ার্ড থেকে পুনর্নির্বাচিত সরাজ আলী (৫৯) এবং ৩ নং ওয়ার্ড থেকে বিজয়ী সাহাব উদ্দিন (৫২)। বিজয়ী কাউন্সিলরদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৫জন এবং বিএনপি, সিপিবি ও জমিয়তের একজন করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ড থেকে মরিয়ম বেগম, ২নং ওয়ার্ড থেকে মালিকা বেগম ডালিম এবং ৩নং ওয়ার্ড থেকে রোশনা বেগম নির্বাচিত হয়েছেন।

তরুণদের উপর পৌরবাসীর আস্থার রাখার অকল্পণীয় নয় উল্লেখ করে পৌর অধিবাসী সহকারি অধ্যাপক ফয়ছল আহমদ বলেন, এখানে গত ১৬ বছর নির্বাচন না হওয়ায় দায়িত্বশীল সবাই (কাউন্সিলর) বয়োজ্যৈষ্ঠ ছিলেন। যার কারণে এ বয়সী কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতি পৌরবাসীর কিছুটা অনীহা থেকে অপেক্ষাকৃত তরুণ কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রতি আস্থা রাখেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের ভোটার তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে ভূমিকা রেখেছে।

নির্বাচিত কাউন্সিলর আব্দুর রহমান আফজল বলেন, ওয়ার্ডবাসীর কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। তাঁরা আমাকে মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। নির্বাচনের পূর্বে ওয়ার্ডের উন্নয়ন ও কল্যাণে যে সকল রূপরেখা তুলে ধরেছি চেষ্ঠা করবো এসব কাজের মাধ্যমে ওয়ার্ডের কাঙ্খিত উন্নয়ন করার।

মিছবাদ উদ্দিন বলেন, যে আশা নিয়ে আমাকে ওয়ার্ডের মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন- আমি যেন সে সকল আশা পূর্ণ করতে পারি।

উল্লেখ, বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রথম নির্বাচন ১৬ বছর পর গত ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। ৩নং ওয়ার্ডের কসবা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গোলযোগ, জাল ভোট প্রদান ও সংঘর্ষের কারণে ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। অপর ৮ ওয়ার্ডেও ফলাফল ২৫ এপ্রিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ৮ মে ৩ নং ওয়ার্ডে পুনর্নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।