বিয়ানীবাজার পৌরশহরে এখনও পর্যন্ত কোন নিরাপদ গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। সরকারি বা বেসরকারিভাবে গাড়ি পার্কিংয়ের কোন ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের অর্ধেক অংশ জুড়ে রাখা হয় ছোট-বড় যানবাহন। ফলে পৌরশহরের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ সড়কের প্রায় যানজট দেখা দেয়।

নিরাপদ পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই ঘটছে গাড়ি চুরির ঘটনা। বিশেষ করে প্রতি মাসের ৫/৭টি মোটর সাইকেল চুরি হচ্ছে পৌরশহর থেকে। এ নিয়ে মোটর সাইকেলের মালিকরা শহরে আসলে গাড়ি নিয়ে উদ্বিঘ্ন থাকেন।

পৌরশহরে পার্কিং-সুবিধা না থাকায় সড়কের উভয় পাশে অবস্থান নেয় ব্যক্তিগত গাড়িগুলো। ফুটপাত থাকে হকারদের দখলে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভ্যানে পণ্যবাহী ভ্রাম্যমাণ হকারদের উৎপাত। ফলে দিনের বেলা ফুটপাত ও অবৈধ পার্কিং করা গাড়িগুলো ছেড়ে রাস্তার ওপর হাঁটাচলা করতে হয় পথচারীদের। তাদের এড়িয়ে মূল সড়কের সামান্য অংশ ব্যবহারের সুযোগ পান গাড়িচালকরা। ফলে সৃষ্টি হয় যানজট। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও পথচারীরা।

তবে পৌরশহরের জামানপ্লাজা,আব্দুস সাত্তার শপিং কমপ্লেক্স এবং আজির মার্কেটে পাকিং ব্যবস্থা থাকলেও মার্কেট সংশ্লিষ্ট ও গ্রাহক ছাড়া অন্যদের গাড়ি রাখা নিয়েও রয়েছে বাধ্যবাধকতা। যার কারণে পৌরশহরে আসা অধিকাংশ গাড়ি মালিককে সড়কের পাশে গাড়ি রাখতে হয়।

ব্যবসায়ী ছফর উদ্দিন বলেন, কলেজ রোডসহ শহরের বিভিন্ন সড়কের পাশে গাড়ি রাখতে বাধ্য হচ্ছেন পৌরশহরে আসা আগন্তকরা। যার কারণে সড়কের যানজট দেখা দেয়। তিনি বলেন, শহরে একটি নয় পারলে একাধিক পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন।

একই দাবি জানান ব্যবসায়ী জাকির হোসেন। তিনি বলেন, পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে না উঠায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে গাড়ি চালক কিংবা মালিকদের বাগবিতণ্ডা ঘটে।

বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র আব্দুস শুকুর বলেন, নিরাপদ গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পৌরশহরের মধ্যখানে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের পরিকল্পনায় গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য পৌর মার্কেটের আন্ডারগ্রাউনকে রেখেছি।