সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার খাসাড়ীপাড়া। সেই গ্রামের প্রকাশিত একটি পাড়ার নাম খিত্তারপাড়া। আজফর আলী প্রকাশিত আজর আলীর বাড়ি ছিল সেই গ্রামে। বিয়ানীবাজারের সাবেক খই-মুড়ি ব্যবসায়ী আব্দুর রবের পুত্র লিয়াকত আলীর চাচা ছিলেন তিনি। আশির দশকের শেষের দিকে বিয়ানীবাজারের পৈত্রিক বাড়ির অংশ বিক্রি করে মৌলভীবাজারের জুড়িতে গিয়ে নতুন ঘর-বাড়ি করেন আজর আলী। তারই বড়পুত্র ইব্রাহিম আলীর (৬০) প্রাণ কেড়ে নিয়েছে একটি যাত্রীবাহী ঘাতক বাস। আর ঘাতক বাস প্রাণ কেড়ে নেওয়াতে শোকের মাতম এখন ইব্রাহিম আলীর বাড়িতে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে আমতৈল এলাকায় মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। মৃত আজর আলির ছেলে ইব্রাহিম আলী পেশায় একজন ফল ব্যবসায়ী। ইব্রাহিম আলীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা খাসাড়ীপাড়া গ্রামে। অনুমান ২৫ বছর বয়সে পিতার সাথে জুড়িতে যান ইব্রাহিম আলী। খাসাড়ীপাড়াতে বাড়ি থাকাকালীন সময় জীবন সংগ্রামী ইব্রাহিম আলী ভারতের আসামে বেশ কিছুদিন ছিলেন। সেখান থেকে ফিরে এসে বিয়ানীবাজারে ফল-ব্যবসাসহ নিজের ও পরের কৃষিকাজ করতেন। বর্তমানে তার পাঁচ কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। পুত্রের বসয় মাত্র ১০ বছর।

ঘটনার সময় তিনি জুড়ী শহরের ভবানীগঞ্জ বাজারের মারুফ হার্ডওয়্যার এর সামনে রাস্তার পাশে বসে শাকসবজি ও ফলমূল বিক্রি করছিলেন। এ সময় হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে পিষে দেয়। এতেও বাসটি ক্ষান্ত হয়নি তাকে চাকায় পিষে ১০/ ১৫ হাত দূরে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় বাসটি আটক করা গেলেও চালক পলাতক রয়েছে। তবে চালককে আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।