নানা উদ্যোগ-কর্মে সফলতায় স্থানীয় অধিবাসী এবং সহকর্মীদের প্রসংশায় ভাসছেন বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিল্লোল রায়। থানা পুলিশ সদস্যদের আবাসন সংকট সমাধানে তিনি উদ্যোগি হয়ে একটি ব্যারাক নির্মাণ এবং আরেকটি সংস্কার করেছেন। নব নির্মিত ব্যারাকের নামকরণ করেছেন ‘শহীদ সৈয়দ মোনায়েমুল ইসলাম স্মৃতি ব্যারাক’।

পুলিশ সদস্যদের আবাসন সমস্যা নিরসনে নেয়া তাঁর এ উদ্যোগ এবং ২০০৯ সালের জুন মাসে উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের কালাইউরা গ্রামে সংঘর্ষ চলাকালে কর্তব্যরত অবস্থায় তৎক্ষালিন ওসি সৈয়দ মোনায়েমুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারি ওসি সৈয়দ মোনায়েমুল ইসলামের স্মৃতি সংরক্ষণে এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ পুলিশ সদস্যদের প্রশংসা পাচ্ছেন ওসি হিল্লোল রায়। একই সাথে সচেতন মহলে তাঁর এ উদ্যোগ সাধুবাদ পাচ্ছে।

এদিকে বিয়ানীবাজারে শীত মৌসুমে ডাকাতি ঘটনা ও ডাকাত আতংক বছরের অন্য সময়ের চেয়ে বেড়ে যায়। গত ৫ জানুয়ারি একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলকে গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের পর উপজেলাবাসী কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছেন। ডাকাতির প্রস্ততিকালে অস্ত্র ও বিপুল পরিমান ডাকাতির সরঞ্জাম জব্দ এবং একই সাথে তিন ডাকাত আটকের ঘটনায় তাঁর কর্ম কৌশল নিয়েও বিভিন্ন মহলের সাধুপাচ্ছেন ওসি হিল্লোল রায়। প্রবাসী অধ্যুশিষ বিয়ানীবাজার উপজেলায় আগেও ডাকাতি প্রস্তুতিকালে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটলেও ইতোপূর্বে সব ঘটনাকে ছাপিয়ে গেছে ৫ জানুয়ারি অস্ত্র ও ডাকাতি সরঞ্জামসহ ডাকাত আটকের ঘটনা।

বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় জানান, ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে তিনি জনগণের খুব কাছাকাছি যেতে চান। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিক নির্দেশনা এবং সবার সহযোগিতায় বিয়ানীবাজারে অপরাধ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসতে চান।

ওসি হিল্লোল রায় বলেন, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র ও ডাকাতির সরঞ্জামসহ ডাকাত আটক সম্ভব হয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিক নির্দেশনার কারণে। ডাকাত আটক ও অস্ত্র উদ্ধারের পর বিয়ানীবাজারবাসীর সাথে পুলিশ প্রশাসনও স্বস্তিতে রয়েছে। তিনি বলেন, কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা আমাদের অগ্রজ সহকর্মীর স্মৃতি রক্ষার্থে আমি যুক্ত থাকতে পেরেছি বলে খুব ভাল লাগছে।

৪ মাসেই প্রশংসিত বিয়ানীবাজারের ওসি হিল্লোল রায়