জনতা ব্যাংক বিয়ানীবাজার শাখায় গ্রাহক হয়রানি ও অশোভন আচরণে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ব্যাংকের শাখা ব্যাবস্থাপক পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক এক কর্মচারীর পরিবারের সদস্যদের সাথে অশোভন আচরণ করেন।

দুপুরে রাষ্ট্রায়ত্ব জনতা ব্যাংকে বিয়ানীবাজার শাখায় ভাতা তুলতে যান পানি উন্নয়নের বোর্ডের সাবেক গাড়ি চালক মৃত ফয়জুর রহমানের স্ত্রী মোমিনা বেগম। স্বামীর পেনশন ভাতা ও ঈদ বোনাস উত্তোলন এবং তার ভাতা বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে কথ বলেন। সরকার নির্ধারিত ভাতা নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে ব্যবস্থাপক জয়নাল আবেদীন খারাপ আচরণ করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হলে একপর্যায়ে ধাক্কা দিয়ে ব্যাংক থেকে বের করে দেন সেখানকার দায়িত্বশীলরা। এ সময় মোমেনা বেগমের সাথে তার ছেলে শিমুল ছিলেন।

ভাতা গ্রহীতা মোমেনা বেগমের অভিযোগ, স্বামীর পেনশন ভাতা আগে ৪৫০০ টাকা থাকলেও তার বয়স ৬৫ হওয়ার কারনে এর সাথে নিজের চিকিৎসা ভাতাসহ মাসিক এই ভাতা বৃদ্ধি পেয়ে এখন হয়েছে ৫৮০০ টাকা । ২০১৫ সাল থেকে এই সুবিধা তার জন্য কার্য়কর হবে এমন একটি নিদের্শনা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে দেওয়া হয়েছে যা ব্যাংকের বিয়ানীবাজার শাখার ও মেইলে প্রেরণ করা হয়েছে। খামখেয়ালীর কারণে তা দেখেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তাই বকেয়াসহ মোট প্রায় ৩২ হাজার টাকার পরিবর্ততে মাত্র এই মাসের পেনশন ভাতা ও ঈদ বোনাস বাবত মাত্র ৭৮০০ টাকা প্রদান করে। বকেয়া বৃদ্ধিকৃত ভাতা কেন দেওয়া হবে না এমন প্রশ্ন করলে ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান এখনও এরকম কোন মেইল আসেনি। সিলেট অফিসের সাথে ছেলে শিমুল আহমদ যোগাযোগ করলে তারা জানায়, কয়েকদিন আগেই ই-মেইল প্রেরণ করা হয়েছে। এমনটি নিশ্চিত হয়ে একটিবারের জন্য ইমেইল চেক করার অনুরোধ জানালে ক্ষেপে যান ঐ কর্মকর্তা । এখন সময় নেই জানিয়ে আগামী রবিবার আসার জন্য বলে তাদের ফিরেয়ে দেন তিনি। তখন বৃদ্ধা ও বিয়ানীবাজার বারবার আসা কষ্ট জানিয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক জয়নাল আবেদীনের দ্বারস্থ হয়ে ইমেইলটি কনর্ফাম করে বাকি টাকাগুলো দেওয়ার অনুরোধ জানালে তিনি আরো রেগে যান। তখন তিনি বলেন ‘আমার অফিসার বলেছে না রবিবারে আসার জন্য যান রবিবারে আসবেন। এখন যান বিরক্ত করবেন না’ তখন সামান্য কাজের জন্য কেনে বারবার হয়রানী করা হবে এর জন্য তার ছেলে শিমুল আহমদ প্রতিবাদ করলে তিনি জবাব দেন, ‘ আগেতো বলেছিলাম রবিবারে আসলে দেওয়া যাবে এখন হার্ড কপি পাওয়ার আগ পর্যন্ত দেবো না। পারলো কিছু করো গিয়ে।’ তখন তিনি এ বলে আমাদের সিকিউরিটি ডেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনতা ব্যাংকের বিয়ানীবাজার শাখা ব্যবস্থাপক জয়নাল আবেদীন বলেন, এরকম একটি ইমেইল পেয়েছি তবে এটিকে আমি সন্তুষ্টজনক মনে না করায় টাকা দেইনি। হার্ডকপি আমাদের কাছে আসলে তার প্রাপ্য টাকা দিতে আমাদের অসুবিধা নেই। এসময় তিনি অভিযোগ করেন ভাতার গ্রহীতার ছেলে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে।