২০০৮ সাল থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে হঠাৎ করেই আড়ালে চলে যান সংগঠনের উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নজমুল হোসেন। সদ্য সমাপ্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘোষণার পর তিনি হঠাৎ করেই জেগে উঠলেন। গত একমাস থেকে সভাপতি পদে নিজের প্রার্থীরা ঘোষণা করে শুরু করেন প্রচারণা। হঠাৎ করে বাজিমাত করতে এসে তিনি খেই হারালেন। এখন নেতাকর্মীদের মাঝে গুঞ্জন আবারও কি আড়ালে চলে যাবেন সাবেক উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল পদের এ নেতা!

সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের একত্রিত করে ছাত্রনেতাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের আগামী নেতৃত্ব নিয়ে আসতে তিনি প্রচারণা শুরু করেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের অনেকেই তাকে সঙ্গ দিলেও কাউন্সিলরদের ভোটে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি। রাজনীতির মাঠ থেকে সরে গেলে যেমনটা হওয়ার কথা ছিল- সম্মেলনের ফলাফলে সেটাই লক্ষ্য করা গেছে। নজমুলের ভোট বাক্সে পড়েছে মাত্র ১২টি ভোট। যেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আব্দুল হাসিব মনিয়ার সাথে তার দুরত্ব আকাশ আর পাতাল। বিজয়ী আতাউর রহমান খানের সাথে ব্যবধান ২শত ভোটের!

বাজিমাত করতে আসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজমুল হোসেন যেভাবে খেই হারালেন সেটা অনেক অনুমেয় ছিল বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন। মাঠে রাজনীতি থেকে সরে গেলে যে শূন্যস্তান তৈরী হয় সেটি কোন না কোন তরুণ নেতা দখল করে নেন। যার কারণে দীর্ঘবিরতীর পর আবার নিজের অবস্থান মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন এক সময়েল উপজেলা যুবলীগের এ সভাপতি।