বিয়ানীবাজার নিউজ ২৪। ১৮ জানুয়ারি ২০১৭।

বিয়ানীবাজার উপজেলার ৩৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। এসব স্কুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। ভারপ্রাপ্তদের ভারে জর্জরীত এসব স্কুলের ভাগ্যে সহসা প্রধান শিক্ষকও জুটছে না। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নতুন করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না হলে এসব স্কুল ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকরাই প্রধান শিক্ষকের কাজ করবেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, অবসর, বদলি ও মৃৃত্যুজনিত কারণে ১৭টি স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য হয়ে পড়ে। এছাড়া নতুন স্থাপিত ৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং জাতীয়করণকৃত আরও ১৩টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। আপাতত ওই স্কুলের সিনিয়র সহকারি শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালগেুলোতে শিক্ষক সংকট দেখা দিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকায় শ্রেণি কক্ষে পাঠদানে এর প্রভাব পড়ছে। ফলে এসব স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

দাসউরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, দীর্ঘদিন থেকে প্রধান শিক্ষক নেই। তিন শিক্ষকের একজন ব্যস্ত ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালনে। অন্য শিক্ষকরা পাঁচটি শ্রেণি এক সাথে সামাল দিতে পারছেন না। শিক্ষক সল্পতার এ বিষয়টি শিক্ষার্থীদের উপর প্রভাব পড়ছে। এ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনকারি সহকারি শিক্ষক আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, বিদ্যালয়ে থাকলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা হয় না। কিন্তু দাপ্তরিক কাজে প্রায়ই উপজেলা সদরে গেলে অন্য সহকারি শিক্ষকের উপর বাড়তি দায়িত্ব পড়ে। এতে কিছুটা সমস্যা হয়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুম মিয়া বলেন, এ বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। নতুন করে এসব স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিতে হলে সরকারিভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ এর উপর নির্ভর করতে হবে। তিনি জানান, মন্ত্রণালয় থেকে এখনো প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।  সেজন্য এ বিষয়ে আমাদের কাছে মন্ত্রণালয় থেকে কোন নিদের্শনা আসেনি।