করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিয়ানীবাজারের দুস্থ, অসহায় ও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ শ্রমজীবী-কর্মহীন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর। এরই অংশ হিসেবে সমাজসেবা কর্মকর্তা অনুজ চক্রবর্তীর মাধ্যমে পৌর এলাকাসহ উপজেলা বিভিন্ন এলাকার শ্রমজীব ও কর্মহীন ৩৩০টি পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এসব খাদ্যসামগ্রীর প্রত্যেক প্যাকেটে ছিল তেল, ডাল, পেয়াজ, ছোলা, চিনি ও সাবান।

রোববার (৩ মে) দুপুরে উপজেলা কমপ্লেক্স ও পৌরসভা কার্যালয় প্রাঙ্গনে পৌরশহরসহ আশপাশের এলাকার ২০টি অসহায় পরিবারের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

সমাজসেবা কর্মকর্তা অনুজ চক্রবর্তীর পরিচালনায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মাহবুব, পৌরসভার মেয়র মোঃ আব্দুস শুকুর, শেওলা ইউপি চেয়ারম্যান জহুর উদ্দিনসহ সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ত্রাণ বিতরণের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুরবর্তী এলাকার খাদ্যসামগ্রী প্যাকেটগুলো সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহায়তায় উপকারভোগিদের বাড়িতে পৌছে দেয় হয়।

এদিকে, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) দূর্যোগকালেও সমাজসেবা কার্যালয় বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় তাদের সেবাগ্রীতদের সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তারাও নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- মাসিক ৫০০ টাকা হারে ভাতা পাচ্ছেন ৭ হাজার ৮ শত ৯৮জন বয়স্ক ভাতা গ্রহীতা, মাসিক ৭৫০ টাকা হারে ভাতা পাচ্ছেন ২ হাজার ৮ শত ৭২জন বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা, মাসিক ৭৫০ টাকা হারে ভাতা পাচ্ছেন ২ হাজার ৯ শত ৮৫জন প্রতিবন্ধী, মাসিক ৭৫০, ৮০০, ৮৫০, ৯০০, ১২০০ টাকা হারে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে শিক্ষা উপবৃত্তি ভাতা পাচ্ছেন ১৩৮জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, মাসিক ৫০০ টাকা হারে ভাতা পাচ্ছেন ৩জন হিজড়া জনগোষ্ঠী এবং ২৫জন বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠী, চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসুচি ৫০ হাজার এবং মাসিক ১২ হাজার টাকা হারে সম্মানী ভাতা পাচ্ছেন ৫ শত ৪১জন মুক্তিযোদ্ধা। এছাড়াও দলিত, হরিজন, হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম এর মাধ্যমে অসচ্ছল রোগীদের সেবাপ্রদান, ক্ষুদ্রঋণ কার্যকম, প্রবেশন ও আফটার কেয়ার কার্যক্রমসহ ৪০টির বেশি বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

‘এবি টিভি’র সর্বশেষ প্রতিবেদন-