দুই/তিন মাস আগের ২০ টাকা দরের পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও গত ২/৩ দিন থেকে থেকে ডাবল সেঞ্চুরি পাড়ি দিয়েছে পেঁয়াজ। ব্যবসায়ীরা নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো দামে বিক্রি করছেন পেঁয়াজ। এলসি পেঁয়াজ কেজি প্রতি কেজি ২৪০, কেউবা ২৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। অথচ ২/৩ দিন পূর্বে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৪০ টাকায়; কেজিতে তা ফের ৯০-১১০ টাকা হারে বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ভোক্তা সাধারণ। এজন্যে তারা দায়ী করছেন আসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ও নিয়মিত বাজার মনিটিরিং না করাকে।

শনিবার সরজমিনে পৌরশহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি এলসি পেঁয়াজ ২৪০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর থাইল্যান্ডের ভড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২১৫-২২০ টাকায়।  পৌরশহর এমনকি গ্রাম-গঞ্জের অন্যান্য বাজারের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই পেঁয়াজ রাখছেন না ব্যবসায়ীরা। যারা রাখছেন তারা আরও উচ্চ মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে। ফের পেঁয়াজের বাজার অস্থির হওয়ায় চরম বেকায়দায় পড়েছেন ক্রেতা সাধারণ।

মাথিউরার কামরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, বর্তমানে মোরগ বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। বাজারে মোরগের চাইতে পেঁয়াজের দাম বেশি। দুই কেজি মোরগের দামের চেয়েও বেশি দামে ১ কেজি পেঁয়াজ কিনে বাড়ি যাচ্ছি। এ অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্য মসলার সাথে পেঁয়াজ কেনা কঠিন হয়েছে পড়েছে।

খুচরা ব্যসায়ীরা জানান, পেঁয়াজ কিনতে আমাদের খরচ বেশি। তাছাড়া পঁচে নষ্টও হয় কিছু। তাই এমন দামে বিক্রি করছি আমরা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম না ছাড়লে আমাদের কিছু করার থাকে না। কেজি প্রতি খরচসহ ২২২-২৩০ টাকায় কিনতে হয় আমাদের। সামান্য মুনাফায় ২৪০-২৪৫ টাকায় বিক্রি করি আমরা।