বিয়ানীবাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। চলতি জুন মাস থেকে করোনা রোগী সংখ্যা ১৭ থেকে বেড়ে ৫৫ জনে পৌছেছে। এমন অবস্থায় বিয়ানীবাজারে ডিলারের কাছ থেকে ১০ টাকা দরের চাল কিনতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের লাইন ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। চালের ট্রাক কিংবা ডিলারদের দোকান ঘিরে উপচেপড়া ভিড় করেছেন কর্মহীনরা। তবে তাদের কেউই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। এতে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে, করোনা প্রাদুর্ভাবের সময় এমন অসচেতন অবস্থা দেখে অনেকেই হতবাক। বিষয়টি প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিয়ানীবাজার পৌরশহরের কলেজ রোডের ওএমএসের চালের ডিলার ব্যবসায়ী জিয়া উদ্দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে ১০ টাকা দরে প্রতিজনের কাছে ৫ কেজি চাল বিক্রি করছেন। কিন্তু চাল নিতে আসা নারী-পুরুষদের কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। জনসমাগম নিষিদ্ধ ও লোক জড়ো হলে করোনার ঝুঁকি আছে জানা সত্ত্বেও কেউ নিয়ম মানেনি। কয়েকশত মানুষকে ১০ টাকা মূল্যের চাল নিতে এসে গা ঘেঁষে করে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অধিকাংশদের মুখে নেই মাস্ক। কেউ কেউ মাক্স সাথে নিয়ে আসলেও সেটি মুখে পরেননি। অনেকেই মাক্স তুতনিতে রেখে দাড়াচ্ছেন লাইনে, কেউবা মাক্স পরে আসতে ভুলে গেছেন।

লাইনে দাঁড়ানোর জন্য দাগ টেনেও সামাল দেয়া যাচ্ছে না বলে জানান ওএমএস ডিলার কলেজ রোডের ব্যবসায়ী জিয়া উদ্দিন। তিনি জানান, আমরা দূরত্ব বজায় রেখেই কাজ করার চেষ্টা করছি। তবে অধিকাংশই নিয়ম মানছেন না। সকাল ১০টা থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মধ‌্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারকে আমরা এ চাল বিতরণ করবো। চাল কেনার সময় ভোটার আইডি কার্ড‌ের ফটোকপি জমা দিতে হচ্ছে।

বিয়ানীবাজারে ইউএনও পুত্রসহ ৬জন করোনা রোগী শনাক্ত