আর মাত্র দুই দিন পর পবিত্র ঈদুল আযহা। মনের পশুত্য কোরবানি এবং আল্লাহ সন্তোষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পশু কোরবানি দেবেন। এর মধ্যে বিয়ানীবাজার উপজেলাসহ আশপাশ এলাকায় নির্ধারীত হাট-বাজার ছাড়াও পথে ঘাটে পশু হাট বসেছে। হাটে গরু সরবরাহ বেশি হলেও ক্রেতা সমাগম তেমন নেই। একই সাথে গরুর চড়া দাম থাকায় ক্রেতারা বুঝে শোনে ক্রয় করছেন।

বারইগ্রাম বাজারসহ দেশী গরুর চেয়ে ভারত থেকে আমদানি করা গরুর সংখ্যা বেশি বলে জানান গরু ক্রয় করতে আশা মাথিউরার আব্দুল হাই। তিনি বলেন, গতবার যে গরু ৫০ হাজার  টাকা এবার সেটি ৬০ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। একই সাথে মহালদাররা ইজারা ফি বেশী নিচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, গত বছর যে কোন গরু ৫শত টাকা থেকে ১হাজার টাকা ইজারা ফি নিলেও এবার সেটি না করে সপ্তাহিক বাজারের নির্ধারীত ফি আদায় করছেন।

বিয়ানীবাজার উপজেলার বারইগ্রাম, দাসউরা, রামদা, দুবাগ, বৈরাগীবাজারসহ নির্ধারীত হাট-বাজারের চেয়ে বিভিন্ন স্থানীয় বাজার, মোড়ের দোকান এলাকায় বেশি গরু বিক্রি হচ্ছে বলে অবিযোগ করেন হাটবাজারের ইজাদাররা। তারা অবৈধ হাটগুলো বন্ধ করার দাবি জানান।

বড়লেখার চান্দ্রগ্রাম বাজারে শনিবার প্রচুর গরু থাকলেও বিক্রি ছিল নগন্য। বাজারের মহালদার বদরুল ইসলাম চৌধুরী পুতুল বলেন, সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫০টির মতোর গরু বিক্রি হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত সাপ্তাহিক বাজারের যেভাবে ফি নিচ্ছি একইভাবে ঈদবাজারেও আদায় করছি।