বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই ইউনিয়নবাসী একটি হত্যা মামলায় আদালতে দাখিল করা পুলিশের চুড়ান্ত প্রতিবেদন থেকে কুয়েত প্রবাসী হোসেন মুরাদ চৌধুরীর নাম প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে মানববন্ধন করেছেন। বিকাল ৪টায় উপজেলার চারখাই বাজারের শহীদ নাহিদ চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন শেষে ইউনিয়নের প্রবীন মুরব্বি আতাউর রহমান চৌধুরী আসাব এর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, প্রবাসী আহাদের প্রকৃত খুনীদের দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাই। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা কোন মহল বিশেষের প্রলোভনে পড়ে নিরাপরাধ কুয়েত প্রবাসী ও আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন মুরাদ চৌধুরীর নাম আদালতে দাখিল করা চুড়ান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করেছেন। অথচ প্রবাসী মুরাদ হত্যাকান্ড ঘটনার এক সপ্তাহ পূর্বে ২৩ আগস্ট দেশ থেকে কুয়েতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

প্রতিবাদ সভায় প্রতিহিংসামুলকভাবে তাকে ফাসানো হয়েছে বলে দাবি করেন ইউনিয়নবাসী আহাদ হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত দাবি করেন।

শিক্ষক শহিদ আহমদ এর পরিচানলায় বক্তব্য রাখেন সৈয়দ আব্দুল করিম, দেলওয়ার আহমদ, বেলাল আহমদ, রাজনীতিবিদ ছালেহ আহমদ, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও পাঠাগারের উপজেলা শাখা সভাপতি আবু সুফিয়াম আজম, নজরুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম, মুহিবুর খান মুকিত, সার উদ্দিন, সিদ্দিক আহমদ, সাইদুজ্জামান চৌধুরী রুমন, রানা আহমদ প্রমুখ।

এদিকে প্রবাসী হোসেন মুরাদ চৌধুরী গত ১৩ জুন কুয়েতে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, তাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে একটি মহল ফাসিয়েছে। তিনি আহাদ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রকৃত হত্যাকারিদেও শাস্তি দাবি জানিয়ে মামলার পুনঃতদন্ত দাবি করেন।

প্রসঙ্গত, পাওনা টাকা পরিশোধের কথা বলে গত বছরের ৩০ আগস্ট নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় ডেকে এনে কুয়েত প্রবাসী আব্দুল আহাদকে কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা তিনি ৩১ আগস্ট মারা যান। গত ২ সেপ্টেম্বর নিহতের স্ত্রী রাসনা বেগম বাদী হয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ ৩জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত জেল হাজতে রয়েছেন।

সম্প্রতি ছয়জনকে আসামি করে দন্ডবিধি ৩০২/১০৯/৩৪ ধারায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) অনুক কুমার চৌধুরী আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন (নং-১৩৫/১৯) দাখিল করেন। আসামিরা হলেন- দক্ষিণ সুরমার সাধুর বাজারের ফখরুল ইসলাম শান্ত, মাথিউরার মাহমুদুর রহমান লায়েক, উত্তর রায়গড়ের মুরাদ হোসাইন রানা, ফেঞ্চুগঞ্জের কটালপুরের সোহেল আহমদ জালাল, চারখাই জালালনগরের কুয়েত প্রবাসী হোসেন মুরাদ চৌধুরী ও সুনামগঞ্জের অভিষেক চক্রবর্তী মিথুন। তবে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকায় গ্রেফতারকৃত সিরাজুল ইসলাম সুরকী ও শহিদুল ইসলাম মামুনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।